পিয়ংইয়ং: ‘প্লেজার স্কোয়াড’-এর জন্য প্রতিবছর ২৫ জন সুন্দরী কিশোরীকে বেছে নেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন। তবে শর্ত রয়েছে। এই স্কোযাডে ঢোকার আগে কুমারীত্ব হারালে চলবে না। দক্ষিণ কোরিয়া বা অন্য কোনও দেশে আত্মীয় থাকলে নাম বিবেচনা করা হয় না। পরিবারের কোনও সদস্য উত্তর কোরিয়া ছেড়ে পালিয়ে গেলেও বাদ দেওয়া হয়। বাছাইদের সৌন্দর্যের পাশাপাশি পারিবারিক ইতিহাস ও রাজনৈতিক আনুগত্য খতিয়ে দেখা হয়। কাজ একটাই। কিম এবং তাঁর সঙ্গীদের খুশি করা। বয়স কুড়ি ও তিরিশের মাঝামাঝি হলেই কাজ শেষ। সবাই অবশ্য ছাড়া পায় না। অনেককেই নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন কিম। একনায়কের বর্বরতা নিয়ে রিপোর্টে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন ইয়োনমি পার্ক নামে এক তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁকেও দু’বার এই কাজের জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবারের অবস্থা দেখার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
এবিষয় ইয়োনমির বক্তব্য, এই স্কোয়াডের সদস্য খোঁজার জন্য স্কুলের একটি ক্লাসরুমও বাদ পড়ে না। ইয়োনমি জানান, সুন্দরীদের তিনটি পৃথক গোষ্ঠীতে ভাগ করা হয়। প্রথম দলের দায়িত্ব মালিশ করা। দ্বিতীয় দলের কাজ নাচ-গানের মাধ্যমে একনায়ককে খুশি। তবে তৃতীয় দলের মেয়েদের কাজ সবথেকে ভয়ঙ্কর। অভিযোগ, ওই কিশোরীদের কিম সহ অন্যান্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে হয়। যারা সবথেকে বেশি সুন্দর তাদেরকে নিজের জন্য বেছে নেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক। বাকিদের কাজ নিচু পদে থাকা জেনারেল ও নেতাদের খুশি করা।