প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
সাধারণত এমন অভিযোগ ইজরায়েলের বিরুদ্ধে তোলে ইরান অথবা লেবানন। কিংবা ইউক্রেন বিদ্ধ করে রাশিয়াকে। এসব স্বাভাবিক। কারণ, যুদ্ধ হোক আর না হোক, এই দেশগুলির বৈরিতা নতুন নয়। তাদের পারস্পরিক বিষোদ্গার পরিচিত। কিন্তু সেই তালিকায় ভারত-কানাডার ঢুকে পড়া সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। জাস্টিন ট্রুডোর দেশের এই বিস্ফোরক অভিযোগের কিছু দিন আগেই ভারতের প্রাক্তন এক ‘র’ এজেন্টের নামে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ নোটিস জারি করেছে মার্কিন আইন দপ্তর। তাদের অভিযোগ, আমেরিকা নিবাসী খালিস্তানি জঙ্গি হিসেবে পরিচিত গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে খুনের চক্রান্ত করেছিল ওই বিকাশ যাদব নামের প্রাক্তন ভারতীয় স্পাই। তার ১০ দিনের মধ্যেই খালিস্তানিদের খুনে চক্রান্তকারী হিসেবে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করল কানাডা সরকার।
সংসদীয় কমিটির কাছে কানাডার উপ বিদেশমন্ত্রী মরিসন আরও বলেন, অমিত শাহের নির্দেশেই যে খতম অভিযানের প্লট নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে তাদের কাছে একঝাঁক তথ্য প্রমাণ রয়েছে। গত বছরের অক্টোবরেই সেকথা ভারত সরকারকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এতগুলো মাস চলে গেলেও ওই অভিযোগ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি নয়াদিল্লি। উল্টে বলেছে, এই তথ্য-প্রমাণ, নথি তাদের কাছে বিশেষ বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘অভিযুক্ত কি অমিত শাহ?’ জবাবে তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, অমিত শাহ এসবের পিছনে।’ একথা স্বীকার করেছেন মরিসন। খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডও এই প্ল্যানের অঙ্গ বলে কানাডার অভিযোগ। সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় কুমার ভার্মা সহ একঝাঁক কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল জাস্টিন ট্রুডো সরকার। সেই সঞ্জয়ের অবশ্য সাফ বক্তব্য, ‘নিজ্জর অথবা সুখদোল সিং গিলের হত্যার সঙ্গে আমাদের অথবা ভারতের কোনও সম্পর্কই নেই।’
কানাডা এভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে টার্গেট করায় রীতিমতো ক্রুদ্ধ ভারত সরকার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে বলা হচ্ছে, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কাহিনি রচনা করছে কানাডা সরকার। ভারত সরকার গোটা বিষয়টা উড়িয়ে দিলেও উদ্বেগের কারণ অন্য। কানাডার মতো ক্ষুদ্র দেশ ভারত সম্পর্কে এত বড় একটি অভিযোগ করবে কোনও বড় খুঁটির সমর্থন ছাড়া? সেই খুঁটি আমেরিকা ছাড়া আর কে? আমেরিকার সবুজ সঙ্কেত যে রয়েছে, সেটা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু তারা কানাডাকে দিয়ে ‘প্রক্সি প্রেশার ডিপ্লোমেসি’ করছে কেন? ভারতের রাশিয়া মৈত্রীর কারণে? ফাইল চিত্র