প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বললেন, ‘নরেন্দ্র মোদি ২০৪৭ সালে বিকশিত ভারতের যে টার্গেট দিয়েছেন, তা সত্যি করতেই হবে। অযোধ্যাই হবে যার উদাহরণ। কারও অভাব অভিযোগ থাকবে না। গরিবের মুখেও লেগে থাকবে হাসি। কাশী, মথুরাকেও হতে হবে অযোধ্যার সমান আকর্ষণীয়।’ আর যোগীর এই মন্তব্যের সমালোচনা করলেন ফৈজাবাজের (যার মধ্যে পড়ে অযোধ্যা) সাংসদ অবধেশ প্রসাদ। তাঁর অভিযোগ, ফের উস্কানিমূলক কথা বলে শান্তি নষ্ট করতে চাইছে বিজেপি। ওয়াকিবহাল মহলে প্রশ্ন, তবে কি যোগীর কথার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে মথুরায় কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ইদগাহ আর বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ ইস্যু?
যদিও বুধবারের দিনটি জনতা নিবেদন করেছিল অযোধ্যায় দীপোৎসবেই। রাজনৈতিক কূটকাচালিতে নয়। ২৫ লাখের মনোরম প্রদীপের আলোয় অযোধ্যায় দীপোৎসবের মধ্যে দিয়ে আগামী বছরের কুম্ভেরও সূচনা করে দিলেন আদিত্যনাথ। বললেন, আগামী বছর কুম্ভ মেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোটি কোটি মানুষ আসবেন দেশবিদেশ থেকে। এবং তাঁরা স্রেফ প্রয়াগরাজ নয়, অযোধ্যায় রামলালার দর্শনেও আসবেন।
ধর্ম আর উন্নয়ন, এই দুয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে একইসঙ্গে ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনেরও কার্যত প্রচার শুরু করে দিলেন তিনি। প্রবল প্রশংসা করলেন মোদির। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজে (আগের এলাহাবাদ) হবে কুম্ভ মেলা। তার আয়োজনের দায়িত্ব যোগী সরকারের। তার দু’বছর পরেই সাতাশে ভোট। ফলে যোগীরও তৃতীয়বার সরকারে আসার অগ্নিপরীক্ষা। তাই কুম্ভ মেলা সফল করতে ‘দূরত্ব’ ভুলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সাহায্য চেয়েছেন যোগী।
অন্যদিকে, কারাবন্দিদের হাতে গড়া প্রদীপে সেজেছে রাম মন্দির সহ অযোধ্যার অন্যান্য মন্দির। ১০ হাজার মাটির প্রদীপ তৈরি করেছেন বন্দিরা। রাম মন্দিরের দীপাবলির আয়োজনে কোনও চীনা সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি বলেই জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। লক্ষ্য, আঞ্চলিক তথা দেশীয় রসদ আর কারিগরদের দিয়েই ‘ভোকাল ফর লোকাল’কে তুলে ধরা।