বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
আবগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তারপর থেকেই চর্চা চলছিল, কেজরিওয়ালের ছেড়ে যাওয়া পদে কে বসবেন। শেষ পর্যন্ত ‘ভরসাযোগ্য’ আতিশীকেই মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেয় আম আদমি পার্টি (আপ)। কেজরিওয়াল তিহার জেলে বন্দি থাকার সময় আতিশীকেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেখা গিয়েছে। এদিন শপথ নেওয়ার পর নতুন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একটাই কাজ—অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ফের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করা। কেজরিওয়াল আমাদের জীবন বদলে দিয়েছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী না হলে দিল্লির মানুষ আর বিনামূল্যে বিদ্যুত্, জল পাবেন না।’ আতিশী আরও বলেন, ‘বিজেপি কেজরিওয়ালকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। তাঁকে ভাঙতে সবরকম চেষ্টা করেছে। বিজেপিকে আর কোনও ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না।’ শপথ নেওয়ার পর দপ্তর বণ্টনও করেছেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী। জনস্বাস্থ্য কারিগরি, বিদ্যুত্, শিক্ষাসহ ১৩টি দপ্তর নিজের হাতেই রেখেছেন আতিশী। সৌরভ ভরদ্বাজ পেয়েছেন নগরোন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো আটটি দপ্তর। কৈলাস গেহলট পাঁচটি, গোপাল রাই তিনটি, মুকেশ আহলাওয়াত পাঁচটি ও ইমরান হুসেন দুটি দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন।
আতিশীকে সবরকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি। তবে আতিশীকে ‘ডামি মুখ্যমন্ত্রী’ বলে কটাক্ষ করেছেন দিল্লি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেন্দর ভার্মা। বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালার বক্তব্য, ‘আসল ক্ষমতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের হাতেই থাকবে। আতিশী হলেন নতুন মনমোহন সিং।’ একাধিক বিজেপি নেতার দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেজরিওয়ালের হাতে কোনও ক্ষমতা নেই। তাই তিনি পছন্দের লোককে মুখ্যমন্ত্রী করেছেন।