উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অগ্রগতি। নতুন কর্মপ্রাপ্তির খবর পেতে পারেন। প্রেম প্রণয় যোগ। ... বিশদ
সর্বসম্মত স্পিকার নির্বাচন চেয়ে সোমবার রাতেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে টেলিফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তখনই প্রথা মেনে ডেপুটি স্পিকার পদটি বিরোধীদের ছাড়ার দাবি জানান খাড়্গে। কিন্তু সরকার তা মেনে নেয়নি। তাই বিরোধিতার বার্তা দিতে হার নিশ্চিত জেনেও প্রার্থী ঘোষণা করে কংগ্রেস। আজ, বুধবার লোকসভায় দলীয় এমপিদের হাজিরা দিতে ‘হুইপ’ও জারি করেছে তারা। রাহুল গান্ধী সাফ জানিয়েছেন, বিরোধীরা সর্বসম্মত স্পিকার নির্বাচনে রাজি ছিল। কিন্তু মোদির জেদের জন্যই তা সম্ভব হল না।
এর আগে স্পিকার নির্বাচনে মাত্র তিনবার ভোটাভুটি হয়েছিল। ১৯৫২ সালের ১৫ মে প্রথমবার স্পিকার নির্বাচনে ৩৯৪ ভোট পেয়ে জিতেছিলেন জওহরলাল নেহরুর প্রস্তাবিত প্রার্থী জি ভি মভলঙ্কর। উল্টোদিকে এ কে গোপালনের প্রস্তাবিত প্রার্থী শঙ্কর শান্তারাম পেয়েছিলেন মাত্র ৫৫টি ভোট। ১৯৬৭ সালের ১৭ মার্চ একইভাবে টেনেটি বিশ্বনাথনকে পরাজিত (২৭৮-২০৭ ভোটে) করে স্পিকার পদে বসেন নীলম সঞ্জীব রেড্ডি। শেষবার স্পিকার নির্বাচনে ভোটাভুটি হয়েছিল জরুরি অবস্থার সময়, ১৯৭৬ সালের ৫ জানুয়ারি। সেবার জগন্নাথ রাও যোশিকে ৩৪৪-৫৮ ভোটে হারিয়ে স্পিকার হয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর প্রস্তাবিত প্রার্থী বি আর ভগৎ। এরপর ১৯৯৮ সালে দু’পক্ষ প্রার্থী দিলেও কাগজে বা বোতাম টিপে ভোটাভুটি হয়নি। ধ্বনি ভোটে হেরে যান শারদ পাওয়ারের প্রস্তাবিত প্রার্থী পি এ সাংমা। জেতেন অটলবিহারী বাজপেয়ির প্রস্তাবিত জি এম বালাযোগী।
এবার এনডিএ-র কাছে আছে ২৯০-এর বেশি এমপি। এদিন ওম বিড়লাকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছে ওয়াইএসআর কংগ্রেসও। তাদের সাংসদ সংখ্যা চার। রাজনৈতিক মহলের দাবি, প্রয়োজনীয় আসন না থাকা সত্ত্বেও অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার মর্যাদা চান জগন্মোহন রেড্ডি। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ। উল্টোদিকে বিরোধী ইন্ডিয়ার শক্তি ২৩৫। তবুও পিছু হটতে নারাজ কংগ্রেস। ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, শারদ পাওয়ারের এনসিপি, উদ্ধবপন্থী শিবসেনার সমর্থন নিয়ে মনোনয়ন পেশ করেন কে সুরেশ। তৃণমূলকে অবশ্য একেবারে শেষবেলায় বিষয়টি জানানো হয়। বেলা ১১টা ৫০ নাগাদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন কংগ্রেসের কে সি বেণুগোপাল। সুদীপবাবু জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে জানাচ্ছি। কিন্তু বেলা ১২ টার মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে হতো। তাই প্রস্তাবে সই করতে পারেনি তৃণমূল। তবে এদিন লোকসভা কক্ষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় রাহুল গান্ধীকে। সন্ধ্যায় তিনি ফোন করেন মমতাকেও। রাতে খাড়্গের বাড়িতে এই ইস্যুতে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন।