হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
সাকলানি বলেন, ‘সংবিধানে যেমনটি রয়েছে, আমাদের অবস্থানও তাই। আমরা ভারত শব্দটি ব্যবহার করতে পারি। আমরা ইন্ডিয়াও ব্যবহার করতে পারি। সমস্যাটা কোথায়? এই নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। যখন যে শব্দটির দরকার, তখন সেটি ব্যবহার করা যাবে। ভারত বা ইন্ডিয়া কোনও শব্দের প্রতিই আমাদের পক্ষপাতিত্ব নেই।’ পাঠ্যবইতে এই শব্দগুলির যেমন ব্যবহার হচ্ছে, তেমনই হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। সোশ্যাল সায়েন্সের পাঠ্যক্রমের মূল্যায়ন নিয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সুপারিশ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সাকলানি।
এদিকে পাঠ্যক্রম থেকে ‘বাবরি কাণ্ড’ বাদ নিয়ে সোমবারও উত্তপ্ত গোটা দেশ। একযোগে বিজেপিকে নিশানা করেছে বিরোধী কংগ্রেস, তৃণমূল এবং সিপিএম। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, এনসিইআরটি ২০১৪ সাল থেকে আরএসএসের শাখা সংগঠন হিসেবে কাজ করছে। সংবিধানের লাঞ্ছনা করেই চলেছে তারা। এনসিইআরটিকে মনে রাখতে হবে তাদের সংস্থার ফুল ফর্ম হল— ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং। নাগপুর বা নরেন্দ্র কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং নয়।’ তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে বলেন, ‘এনসিইআরটির যুক্তি মেনে ইতিহাস থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধও বাদ দেওয়া উচিত।’ পড়ুয়াদের থেকে সত্যকে লুকিয়ে রাখতে বিজেপি এত উদগ্রীব কেন, প্রশ্ন তুলেছেন সাকেত। বিষয়টি নিয়ে সরব কেরলের মন্ত্রী এম বি রাজেশ। তাঁর অভিযোগ, সরকারের সব স্তরে সাম্প্রদায়িকতা প্রবেশ করাতে চাইছে বিজেপি। সকলকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
অন্যদিকে, নতুন পাঠ্যপুস্তকের পরামর্শদাতা হিসেবে তাঁদের নাম থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ যোগেন্দ্র যাদব এবং সুহাস পুলসিকর। গত বছরই সিলেবাস কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তাঁরা। এরপরও এনসিইআরটির নতুন বইতে তাঁদের নাম রয়ে গিয়েছে। অবিলম্বে তাঁদের নাম লেখা বই প্রত্যাহারের জন্য এনসিইআরটিকে চিঠি লিখেছেন তাঁরা। তাঁদের আর্জি মানা না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যোগেন্দ্র ও সুহাস।