নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ক্লেম সেটলমেন্ট হোক। অথবা পেনশন প্রাপ্তির জন্য ডিজিটাল জীবন প্রমাণপত্র। এবার শরিকদের চাপে ইপিএফওতে একাধিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিমধ্যেই একপ্রস্থ  বৈঠক করেছে এনডিএ। শ্রমমন্ত্রকের আওতায় থাকা কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের (ইপিএফও) শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে সম্প্রতি ওই বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় শ্রমসচিব সুমিতা দ্বারা। সেই বৈঠকেই কেন্দ্রীয় শ্রমসচিব ইপিএফও আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, বিভিন্ন ব্যবহারিক ক্ষেত্রে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। এমন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে, কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) পরিষেবা পেতে সাধারণ গ্রাহকদের কোনওরকম অসুবিধে না হয়। 
এ প্রসঙ্গেই সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবাকে আরও বিস্তৃত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। ইপিএফও জানিয়েছে, যেকোনও ধরনের ক্লেম সেটলমেন্টের এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ তিনদিনের মধ্যে নিষ্পত্তি ঘটানো হচ্ছে। অটো-মোড ট্রান্সফারের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই ব্যবস্থায় প্রায় ২৫ লক্ষ অ্যাডভান্স ক্লেমের নিষ্পত্তি করা হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে যাঁরা ইপিএফের টাকা তোলার আবেদন জানান, সেরকম ক্লেম সেটলমেন্টও প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি নিষ্পত্তি হয়েছে। 
আবেদন বাতিল যাতে কম হয়, তাও সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। যদিও এ নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাচ্ছে না সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। তাদের কটাক্ষ, ‘ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশনের পরিমাণ বৃদ্ধি করা কিংবা ইপিএফের নতুন হারে সুদের টাকা গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার মতো বিষয় নিয়ে কেন্দ্র মাথা ঘামাচ্ছে না। মিটিংয়ে এ নিয়ে কোনও আলোচনাও হয়নি। আগে দেশের গরিব শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বার্থরক্ষার্থে উদ্যোগী হোক কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর বরং পরিসংখ্যান জমা দেবে।’