বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
এবার বিজেপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনেক দূর আগেই থামতে হয়েছে। নরেন্দ্র মোদিকে এবার নির্ভর থাকতে হবে শরিকদের উপরই। ভোটের এই হতাশাজনক ফলের পরই ভাগবতের মন্তব্য আলোড়ন ফেলে দেয়। গত সোমবার নাগপুরে তিনি বলেন, ‘প্রকৃত সেবক কখনও অহঙ্কারী হন না। তিনি বিনম্রতার সঙ্গে কাজ করেন। আমি এটা করেছি, এমন অহঙ্কার তাঁর থাকে না।’ নাম না করে তিনি এভাবে মোদিকেই বিঁধেছিলেন বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত। তারপর সঙ্ঘের মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’-এও ভাগবতের মতেরই প্রতিধ্বনি শোনা যায়। এর ফলে বিজেপির অন্দরে তীব্র অস্বস্তি ও ক্ষোভ দানা বাঁধে। বিরোধীরাও মোদিকে সঙ্ঘের এই সব বক্তব্য নিয়ে কাঠগড়ায় তুলতে শুরু করে। তারইমধ্যে বিজেপির কাটা ঘায়ে নুন ছিটিয়ে দেয় ইন্দ্রেশের মন্তব্য। তিনি বলেন, ‘যাঁরা রামচন্দ্রের ভক্ত, তাঁরা ক্রমেই অহঙ্কারী আর উদ্ধত হয়ে পড়েছেন। তাই রামচন্দ্রই তাঁদের শাস্তি দিয়েছেন। যাঁরা নিজেদের দলকে বিশ্বের বৃহত্তম বলে আখ্যা দিয়েছিল, তাঁরা নিজেরাই লোকসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল না! ২৪০-এর মধ্যে আটকে যেতে হল! প্রভু রামচন্দ্র নিজেই তাঁদের ২৪০ এর মধ্যে আটকে দিয়েছেন।’ তাঁর এই মন্তব্য থেকে অবশ্য দূরত্ব বাড়িয়েছিল সঙ্ঘ। তারপরই শুক্রবার ভোল বদলে বিজেপির প্রশংসা করেন ইন্দ্রেশও। তিনি বলেন, ‘যাঁরা রামের বিরোধী, তাঁরা সবাই ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছেন। আর যাঁরা রামের নামে সংকল্প নিয়েছেন, তাঁরাই এখন ক্ষমতায়।’ নরেন্দ্র মোদির প্রতি মানুষের আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
একইসঙ্গে আরএসএস সূত্রেও ভাগবতের বক্তব্য নিয়ে সাফাই দেওয়া হয়েছে। ওই সূত্রে বলা হয়েছে, সঙ্ঘ প্রধানের বক্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের ভোটের পরও তিনি কার্যত একই কথা বলেছিলেন। এখন ধোঁয়াশা তৈরির জন্য তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।