বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
বাস্তার রেঞ্জের আইজিপি সুন্দররাজ পি জানিয়েছেন, কোডটামেটা থানা এলাকার আবুজমাদ অরণ্যে বেশ কয়েকজন মাওবাদী লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর মেলে। তার ভিত্তিতে চারটি জেলার (নারায়ণপুর, কানকের, দান্তেওয়াড়া ও কোন্ডাগাঁও) নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ টিম অভিযানে নামে। তাতে অংশ নিয়েছিল ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি), এসটিএফ, ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিসের ৫৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ান ও বর্ডার সিক্যুরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। যৌথ বাহিনীর সদস্যরা চারপাশ থেকে ঘিরে ধরতেই তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় যৌথবাহিনীও। সকাল সাতটা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে গুলির লড়াই। মাওবাদীদের তরফে গুলি বন্ধ হতেই তল্লাশি শুরু করে বাহিনী। উদ্ধার হয় একটি ইনসাস, .৩০৩ রাইফেল, গ্রেনেড লঞ্চার সহ অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের বেশ কিছু নথিপত্রও। জঙ্গল থেকে মেলে আট মাওবাদীর নিথর দেহও। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, গুলির লড়াইয়ে এসটিএফের এক জওয়ানও শহিদ হয়েছেন। তাঁর নাম নীতীশ এক্কা (২৭ বছর)। বাড়ি যশপুর জেলায়। লেখরাম নিতাম ও কৈলাস নিতাম নামে জখম দুই জওয়ানকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের রায়পুরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এপর্যন্ত বাস্তার ডিভিশনের বিভিন্ন জায়গায় এনকাউন্টারে ১৩১ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।