রাজকোট: বেরোনোর একটিমাত্র দরজা। সেটির সামনেও দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। উপায় না পেয়ে তাই দোতলা থেকেই ঝাঁপ। গুজরাতের রাজকোটের গেমিং জোনে অগ্নিকাণ্ডে এভাবেই প্রাণ বাঁচিয়েছেন অনেকে। বাইরে বেরোতে না পেরে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনেরও বেশি মানুষের। আর যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরা এখনও আতঙ্ক থেকে বের হতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে প্রীতবিরাজ সিং জাদেজা নামে এক ব্যক্তি নিজের অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বোলিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তখন দুজন কর্মী এসে জানালেন একতলায় আগুন লেগেছে। আমাদের বেরিয়ে যেতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে পুরো জায়গা ধোঁয়ায় ভরে যায়।’ জাদেজা বলেন, ‘আমরা প্রথমে পিছনের দরজা দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করি। কিন্তু দরজা খোলেনি। তখন হঠাত্ দেখি, একটা জায়গা দিয়ে বাইরের আলো দেখা যাচ্ছে। তখন ওই জায়গায় লাগানো টিনের শিট লাথি মেরে খোলা হয়। আমরা পাঁচজন দোতলা থেকে ঝাঁপ মেরে প্রাণ বাঁচাই।’ জাদেজা জানান, আগুন লাগার সময় দোতলায় শিশুসহ অন্তত ৭০ জন ছিলেন। আরও অনেকেই জানিয়েছেন, হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যাওয়ায় দরজা দিয়ে বেরোতে পারেননি। বাধ্য হয়ে জানালা দিয়ে ঝাঁপ মারতে বাধ্য হন তাঁরা।
টিআরপি অ্যামিউজমেন্ট অ্যান্ড থিম পার্ক নামে ওই গেমিং জোনটি দোতলা একটি ভবনে গড়ে উঠেছিল। সপ্তাহের শেষ হওয়ায় প্রচুর মানুষ সেখানে ভিড় করেছিলেন। বিভিন্ন খেলার জন্য কমবয়সিদের কাছে জনপ্রিয় ছিল ওই গেমিং জোন। শনিবারও প্রচুর শিশু সেখানে এসেছিল। দমকলের এক আধিকারিক জানান, বেরনোর সামনে অস্থায়ী কাঠামো ভেঙে পড়াতেই মৃতের সংখ্যা এত বেড়েছে।