নয়াদিল্লি: জামিনের মামলায় বুধবারও স্বস্তি পেলেন না ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বরং, তথ্য গোপনের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ভর্ৎসনা করল। এরপরই ইডির গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নিলেন জেএমএম সুপ্রিমোর আইনজীবীরা। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার অবসরকালীন বেঞ্চ হেমন্তের আইনজীবীদের মামলা প্রত্যাহারের অনুমতি দেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ট্রায়াল কোর্টে হেমন্ত সোরেনের জামিনের আবেদন বিচারাধীন রয়েছে। তাছাড়া, ইডির অভিযোগের বিষয়টিও এখনও বিশেষ আদালতে বিচারাধীন। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করার সময়ে সংশ্লিষ্ট তথ্য গোপন করা হয়েছে। বিচারপতিরা বলেন, এই ধরনের সমান্তরাল আবেদন হেমন্ত সোরেনের মতো ব্যক্তির কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়। এভাবে সত্য গোপন করে আদালতে আবেদন করা যায় না। এক্ষেত্রে সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এমন আচরণ মোটেই ‘দোষমুক্ত’ নয়। তাই, সংশ্লিষ্ট মামলার গুরুত্ব বিচার না করেই সোরেনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হবে। এরপরই সোরেনের আইনজীবীরা তড়িঘড়ি মামলা প্রত্যাহারের জন্য অনুমতি চান। তা মঞ্জুর হয়।
ঝাড়খণ্ডে জমি কেলেঙ্কারিতে আর্থিক প্রতারণা মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি ইডি গ্রেপ্তার করেছে হেমন্ত সোরেনকে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেও হেমন্তর দাবি, তিনি নির্দোষ। লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্যই তিনি সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেন। গত ১৩ মে সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। এক্ষেত্রে, সেই তুলনাই টানেন হেমন্ত সোরেনের আইনজীবী কপিল সিবাল। কিন্তু, তথ্য গোপনের কারণ দেখিয়ে বিচারপতিরা জামিনের আবেদন শুনতে অস্বীকার করেন। ফলে,আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে হেমন্ত সোরেনকে।