প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে বিকাশ ও আমিত্বের ছোঁয়া ছিল প্রধানমমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে, বিকাশ ছেড়ে তিনি মন দিয়েছেন ধর্মীয় সুড়সুড়ি ও সাম্প্রদায়িক প্রচারে। কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে বারেবারেই বলেছেন, সংখ্যালঘু তোষণের পথে হাঁটছে শতাব্দী প্রাচীন দল। এমনকী তাঁরা সরকারে এলে মুসলিমরা বাড়তি সুবিধা পাবে বলে অভিযোগ ছিল প্রধানমন্ত্রীর। ‘কখনও মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেওয়া আবার কখনও সম্পত্তি মুসলমানদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া’। কখনও আবার বলছেন ‘রামমন্দিরে তালা ঝুলিয়ে দেবে কংগ্রেস। আবার বলছেন, ওদের ইস্তাহার দেখে মনে হচ্ছে মুসলিম লিগের। বিরোধীদের বিঁধতে গিয়ে বারংবার তাঁর টার্গেট হয়েছেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। তবে দেশবাসী যে আর মেরুকরণের অস্ত্রে ‘বিদ্ধ’ হচ্ছেন না, তা টের পেয়েছেন পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই ঠেলায় পড়ে বোধোদয় হয়েছে মোদির। বলেছেন, ‘কে আপনাদের বলেছে মুসলমানরা বেশি সন্তান জন্ম দেন। কেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রতি এই অবিচার? দরিদ্র পরিবারেরই এমন সমস্যা রয়েছে। তারা সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারে না। আমি কোনও হিন্দু বা মুসলিম বলিনি। শুধু বলেছিলাম বাচ্চাদের ভালো করে মানুষ করো। দরিদ্রদের কথা মাথায় রেখে বলেছিলাম। কোনও দিন হিন্দু-মুসলমান বিভাজন করিনি। করব না। এটা আমার অঙ্গীকার।’
স্বভাবতই মোদির এই হঠাৎ পরিবর্তনকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, মানুষ যে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে ইসলাম বিরোধী মন্তব্য আর পছন্দ করছেন না, তা বুঝেই পাল্টি খেলেন মোদি।