সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
শুক্রবার রাজ্যসভায় রেলের রাজস্ব আদায় নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে লিখিতভাবে জানতে চান বিজেপি সাংসদ যুগলসিং লোখাণ্ডওয়ালা। এরই জবাবে রেলমন্ত্রী লিখিতভাবে রাজ্যসভায় যে পরিসংখ্যান পেশ করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৭-১৮ আর্থিক বছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ (২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত রেলে মোট ৩১ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বেসরকারি বিনিয়োগ হয়েছে।
পরিসংখ্যানেই রেলমন্ত্রক উল্লেখ করেছে যে, ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরের আগে এই সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষিত হতো না। এদিন রাজ্যসভায় রেলমন্ত্রীর পেশ করা পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, মোদি জমানায় রেলে সবথেকে বেশি বেসরকারি বিনিয়োগ হয়েছে ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে। প্রায় ১৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে বেসরকারি বিনিয়োগ হয়েছে ১৩ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৭৫০ কোটি টাকা। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে রেলে বেসরকারি বিনিয়োগ হয়েছে ৬৬৭ কোটি টাকা। ২০২১-২২ আর্থিক বছরে এর পরিমাণ ১ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। এবং গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে রেলে প্রায় ১ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা বেসরকারি বিনিয়োগ হয়েছে।
যদিও ভারতীয় রেলের কোন কোন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বিনিয়োগ করেছে, রাজ্যসভায় এদিনের লিখিত জবাবে তার কোনও উল্লেখ রেলমন্ত্রী করেননি। তবে রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর, বিশেষ করে রেলওয়ে স্টেশনের মানোন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে বেসরকারি বিনিয়োগ হয়েছে। পাশাপাশি কার্গো গতিশক্তি টার্মিনাল নির্মাণ কিংবা ভারত গৌরব ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রেও কিছু বেসরকারি বিনিয়োগ করা হয়েছে। একইসঙ্গে রেলমন্ত্রীর এদিনের জবাব থেকে স্পষ্ট যে, যাত্রীভাড়া এবং পণ্য পরিবহণ খাতে রেলের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে যাত্রীভাড়া থেকে রেলের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ৪৮ হাজার ৬৪৩ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা। গত ফেব্রুয়ারি পর্যম্ত ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজার ৫৩৮ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকায়।
অন্যদিকে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে পণ্য পরিবহণ থেকে রেলের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৫ কোটি টাকার কিছু বেশি। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেই পরিমাণ হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা।