সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
ওড়িশা সফরের শেষ দিনে ভুবনেশ্বরের এরোড্রাম রোডের বাসভবনে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মমতা। বিষয়টি যে নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ, তাও জানিয়েছিলেন দু’জনই। তবুও রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল ছিল যথেষ্ট। বৈঠক শেষে মমতা জানিয়েছেন, প্রভু জগন্নাথের আশীর্বাদে প্রতিবেশী দুই রাজ্যের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। আমি ওঁকে (নবীন) আমন্ত্রণ জানিয়েছি দীঘার জগন্নাথ মন্দির দেখতে। কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুরক্ষিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উনি তাতে সহমত হয়েছেন।’ ২০২৪’এর মহারণ, তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের সম্ভাবনা, এই সংক্রান্ত কোনও কথাবার্তা যে তাঁদের মধ্যে হয়নি, তা স্পষ্ট করেছেন মমতা-নবীন দু’জনেই। এদিনের বৈঠকে নিউ পুরীতে বাংলার নিজস্ব অতিথি নিবাস তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় দু’একর জমির ছাড়পত্র দিয়েছেন নবীন। এই পর্বেই শিল্পের প্রয়োজনে বাংলার জন্য লৌহ আকরিক চেয়ে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থও হয়েছেন মমতা।
অবিজেপি এবং অকংগ্রেসি বৃত্তের একের পর এক নেতাদের যেভাবে তিনি জুড়ে চলেছেন, সেই আবর্তে বিজু জনতা দলের অবস্থান কী হয়, সেটাই ছিল দেখার। আজ, শুক্রবার বিজেপি-কংগ্রেসের সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রাখা কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গে কালীঘাটে বৈঠকে বসবেন মমতা। চলতি বছরেই কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন। দক্ষিণের এই রাজ্যের ফলাফল যে ২৪’এর মহারণকে অনেকটাই প্রভাবিত করবে, তা মানছে সব পক্ষই।