প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইউনানির জাল আরএমপি সার্টিফিকেট ইস্যু করার চক্রের শিকড় অনেক গভীরে ছড়িয়ে রয়েছে। তবে ইমতিয়াজ শুধু একা নন, এতে আরও অনেকেই জড়িয়ে রয়েছেন। তদন্তকারীরা জেনেছেন, মাধ্যমিক পাশ নয়, এমন ব্যক্তিকে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভুয়ো নথি তিনি তৈরি করে দিয়েছেন। খাতায় কলমে দেখিয়েছেন, তাঁদেরই অধীন কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছেন। বাস্তবে ওই প্রতিষ্ঠানের কোনও অস্তিত্ব নেই বলে জানা যাচ্ছে। অথচ ওই সংস্থার নামে ভুয়ো অ্যাডমিট কার্ড, রোল নম্বর ইস্যু হয়েছে। কবে, কোথায়, কখন পরীক্ষা হয়েছে, তার জাল নথিও তৈরি করেছেন অভিযুক্ত ও তাঁর শাগরেদরা। এমনকী প্র্যাকটিক্যাল হয়েছে বলেও দেখানো হয়েছে। তদন্তকারীদের নজরে এসেছে, যে সমস্ত জায়গায় পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে, সেগুলি খাতায় কলমে নেই। এরপর এগুলির ভিত্তিতে জাল আরএমপি সার্টিফিকেট ইস্যু করেছেন ইমতিয়াজ। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদীয়া সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এই ভুয়ো ডিগ্রিধারীরা চেম্বার খুলে রোগী দেখছেন।এই ধরনের সার্টিফিকেট নিয়ে ডাক্তারি করা বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জেনেছেন প্রার্থী অনুযায়ী টাকা নেওয়া হতো। তবে কোনও ক্ষেত্রে অঙ্ক তিন লক্ষ টাকার নীচে ছিল না। এভাবে কোটি কোটি টাকা বেআইনি রোজগার করেছেন অভিযুক্ত। জালিয়াতি করে আসা টাকা বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করেছেন তিনি। কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর একাধিক সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।