প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
ঘটনার দিন ট্রমা কেয়ার ইউনিটে একজন এইচআইভি রোগীকে পরীক্ষা করছিলেন দেবারুণবাবু। তাঁর রক্তের নমুনা নেওয়ার জন্য বাক্স থেকে একটি গ্লাভস বের করেন। তবে, তাতে লাল দাগ দেখে তিনি চমকে ওঠেন। তিনি ভাবেন, কেউ ভুল করে ব্যবহৃত গ্লাভসই বাক্সে রেখে গিয়েছেন। তাই তিনি আরও একটি গ্লাভস বের করেন। তাতেও একই রকমের দাগ ছিল। তারপরে দেখা যায়, ওই বাক্সে থাকা সবক’টি গ্লাভসেই একই রকম দাগ। এরপর তিনি বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। খবর জানাজানি হওয়ার পরে আগে থেকেই চলা আন্দোলনের আগুনে যেন ঘি পড়ে। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পালে আরও হাওয়া লাগে। তবে, ইতিমধ্যেই সেটিকে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। চলে ওই নমুনার বেঞ্জিডিন পরীক্ষা। তাতেই জানা যায়, ওই গ্লাভসের দাগ রক্তের নয়। তাতে রক্ত থাকলে বেঞ্জিডিন পরীক্ষায় তা পজিটিভ আসে। এক্ষেত্রে রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। এমএসভিপি ডাঃ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়ও একথা জানিয়েছেন। তবে তাঁর বক্তব্য, সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর থেকেও ওইদিন গ্লাভস এসেছিল। তবে, সেগুলির ব্যাচ নম্বর এবং জিআরএন নম্বরের সঙ্গে দাগযুক্ত গ্লাভসের নম্বরগুলি মিলছে না। এই গ্লাভসগুলি কোথা থেকে এল, সেটা জানার জন্যও তদন্তও চলছে। প্রসঙ্গত, ঘটনার পরেই স্বাস্থ্য দপ্তর গ্লাভসের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করেছিল। তাতেও রক্তের প্রমাণ মেলেনি। আরও নিশ্চিত হতেই হাসপাতালকে বায়োকেমিস্ট্রি ও প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্যভবন।
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, গ্লাভসে কিছু রাসায়নিক দিতে হয়, সেগুলির আয়ু বাড়ানোর জন্য। সেগুলি একটি জায়গায় জমেও এমন দাগ সৃষ্টি করতে পারে। যদিও, ওটি আসলে কী ছিল, তা আরও পরীক্ষার পরেই নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব হবে। সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর থেকে যদি ওই গ্লাভসগুলি এসেই থাকে, তাহলে তার ব্যাচ এবং জিআরএন নম্বর কেন মিলবে না, এই প্রশ্নও তুলছে তারা।