প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
আসন্ন উপ নির্বাচনের এলাকাগুলি বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যে এখন চলছে আবাসের সমীক্ষা। পুরনো তালিকায় থাকা ৩৬ লক্ষ উপভোক্তার মধ্যে কতজন এখনও বাড়ি তৈরির টাকা পাওয়ার উপযুক্ত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিন দুপুরে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, কৃষিসচিব ওঙ্কার সিং মিনা এবং পঞ্চায়েত সচিব পি উল্গানাথনকে নিয়ে বৈঠক করেন মমতা। সেখানে তাঁর ওই নির্দেশের পর নড়েচড়ে বসে পঞ্চায়েত দপ্তর। এখনও পর্যন্ত ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার ক্ষেত্রে যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ২১.৪৩ শতাংশের নাম বাদের তালিকায় রয়েছে প্রাথমিকভাবে। তাই ঠিক হয়েছে, চূড়ান্ত তালিকা থেকে এই নামগুলি বাদ দেওয়ার আগে অভিজ্ঞ আধিকারিকদের দিয়ে পুনরায় যাচাই করানো হবে। বাড়িতে তিন বা চার চাকার মোটরগাড়ি, তিন বা চার চাকার কৃষি সরঞ্জাম থাকলে, পরিবারে কোনও সরকারি কর্মচারী বা মাসে ১৫ হাজার টাকা উপার্জন করা কোনও সদস্য বা আয়কর দেন এমন কোনও সদস্য থাকলে বা আড়াই একরের বেশি চাষযোগ্য জমি থাকলে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া যাবে না। এমন মোট ১০টি শর্ত রয়েছে রাজ্যের ‘এসওপি’-তে। তারপরও মুখ্যমন্ত্রীর ‘মানবিক অভিমুখ’ সংক্রান্ত বার্তা মাথায় রেখে পুনরায় যাচাই হবে। প্রসঙ্গত, আবাস প্রকল্প থেকে নাম বাদ পড়ার খবর ছড়াতেই একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বার্তায় সেই বিক্ষোভ কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে বলে আশা পদস্থ কর্তাদের।
এদিকে, বন্যা ও ‘ডানা’ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাজ্যের কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। তাই বাংলা শস্যবিমার সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রেও মানবিক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিয়মের কড়াকড়ি করতে গিয়ে প্রকৃত কোনও ক্ষতিগ্রস্ত যাতে বঞ্চিত না হন, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত দুই মন্ত্রী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কালীপুজোর পরই তাঁরা জেলায় জেলায় যাওয়া শুরু করবেন। আজ, বুধবার এই দু’টি বিষয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব।