প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
বরুণহাট এলাকার নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। ওই বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। আর জি কর আবহে যখন তোলপাড় গোটা রাজ্য, তখনই ওই মহিলা হয়ে ওঠেন চিকিৎসকের ‘সফ্ট টার্গেট’! মাসখানেক আগে গৃহবধূ অসুস্থ হয়েছিলেন। তিনি দ্বারস্থ হন স্থানীয় হাতুড়ে চিকিৎসক নুর আলম সর্দারের। মহিলাকে বলা হয়, ওষুধ খেলে রোগ সারতে সময় লাগবে। ইঞ্জেকশন দিলে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন। চিকিৎসকের কথা মতো ইঞ্জেকশনও নেন ওই মহিলা। চিকিৎসকের কথা মতো চেম্বারে কিছুক্ষণ বসে থাকেন ওই মহিলা। অভিযোগ, তারপরই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ধীরে ধীরে সংজ্ঞাও হারিয়ে ফেলেন। এরপর তাঁকে পাশের বেডে নিয়ে যায় চিকিৎসক। আর বেহুঁশ অবস্থাতেই ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি সেই ছবিও তোলে চিকিৎসক নুর। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এমনকী টাকাও দাবি করা হয় বলে দাবি মহিলার স্বামীর। তিনি বলেন, ‘আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগকে কাজে লাগায় ওই চিকিৎসক। রোগ সারানোর নাম করে আমার স্ত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়েছে। রবিবার স্ত্রী গোটা বিষয়টি আমাকে জানায়। তারপর আমি বাড়ি ফিরে থানায় অভিযোগ জানাই।’ পুলিস গ্রেপ্তার করেছে ওই ডাক্তারকে। তিনি আরও বলেন, ‘টাকা চেয়ে চিকিৎসকের ক্রমাগত চাপে আমার স্ত্রী আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন। একজন চিকিৎসকের কাছে গিয়ে এভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হবে, তা জানা ছিল না। আমি এর জাস্টিস চাই।’ এ নিয়ে বসিরহাট পুলিস জেলার পুলিস সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, ‘অভিযোগ দায়ের হতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে নুর আলম সর্দারের ডাক্তারির কোনও উপযুক্ত নথি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’