প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
পরিবেশ বান্ধব প্লাস্টিক তৈরিতেও উদ্যোগী হয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। সায়েন্স সেন্টারের ডিরেক্টর নিখিল বিশ্বাস বলেন, ‘ভাতের মাড় থেকে পরিবেশ বান্ধব প্লাস্টিক তৈরি করা যায়। এছাড়া ভুট্টা এবং আলু থেকেও তা তৈরি করা সম্ভব। আলু ছোট ছোট করে প্রথমে কাটতে হবে। তা থেঁতলে জলের মধ্যে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে স্টার্চ বের হবে। ভুট্টা থেকেও স্টার্চ বের করার একই পদ্ধতি। এই স্টার্চের সঙ্গে একটি রাসায়নিক মেশালে পলিমার তৈরি হবে। তা আমরা হাতে-কলমে করে দেখাচ্ছি। সেখান থেকে বায়োপ্লাস্টিক তৈরি করা যাবে। ব্যবহার করার পর তা সহজে নষ্টও হবে। আগামী দিনে এধরনের প্লাস্টিক ব্যবহার করা ছাড়া কিন্তু উপায় নেই। এই পথই বাঁচাবে দূষণ থেকে।’
অধ্যাপক নবকুমার মণ্ডল বলেন, ‘এখন শুধু ভূ-পৃষ্ঠের মধ্যে প্লাস্টিক নেই। সূক্ষ্মভাবে ভেঙে তা আকাশে উড়ছে। পরে আবার তা বৃষ্টির সঙ্গে নেমে আসছে। নুনের মধ্যেও মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে। তা খাবারের সঙ্গে ঢুকছে শরীরে। কিছুদিন আগে সদ্যোজাতের শরীরেও প্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে, তা যথেষ্ট ভয়াবহ। সেকারণে দূষণ সৃষ্টিকারী প্লাস্টিক ধ্বংস করতেই হবে। তা ভালো কাজেও ব্যবহার করা যাবে। বিশেষ করে মশা নিধনের জন্য প্লাস্টিকের বিকল্প পাওয়া ভার। প্লাস্টিক থেকে ন্যানো কার্বন বানাতে পারলেই মশা ধ্বংস হবে। তার ডায়ামিটার হবে ৩০-৫০ ন্যানো মিটারের মধ্যে। তা থেকে কোনওরকম দূষণও ছড়াবে না। এর ফলে এক ঢিলে দুই পাখি মরবে। প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের কাজ হবে, পাশাপাশি মশার মতো সমাজের শত্রুকেও ধ্বংস করা সম্ভব হবে। তা কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে।’ -নিজস্ব চিত্র