প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
কল্যাণবাবুর কথা থেকে জানা যায়, সেটা ছিল নবমীর রাত। কল্যাণবাবুর অসুস্থ স্ত্রী হঠাৎ বলেন, ‘আমাদের বাড়িটা কাঁপছে কেন?’ কল্যাণবাবু বাইরে গিয়ে দেখেন, একটি বড় পুজো কমিটির অনুষ্ঠানে দেদার ডিজের ব্যবহার হচ্ছে। কল্যাণবাবুর বাড়ির নীচের তলায় একজন ক্যান্সার রোগী থাকেন। এছাড়া সামনের বাড়িতে এক বৃদ্ধের বাস। সেই ‘তাণ্ডব’ থেকে বাঁচার জন্য তিনি বিধাননগর কমিশনারেটে ফোন করেন। মাত্র পাঁচ মিনিটে ‘অ্যাকশন’ হয়। তার পাঁচ মিনিটের মধ্যে পুজো কমিটির এক কর্তার ফোন আসে কল্যাণবাবুর কাছে। বলা হয়, ‘স্যার শুধু আপনারই অসুবিধা হচ্ছে।’ কল্যাণবাবু বলেন, ‘অসুবিধা সকলেরই হচ্ছে, কিন্তু অন্য কারও বলার সাহস হচ্ছে না। আমি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান, তাই আমাকে স্পর্শ করা কঠিন। অন্য লোকেরা ভয় পায় বলে সাহস পাচ্ছেন না।’ এই ঘটনার মাধ্যমে শব্দদানবকে রুখে দেওয়ার বার্তাই তিনি দেন।
এদিনের বৈঠক থেকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা সকলকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, কেউ যেন সবুজ বাজি ছাড়া অন্য কোনও বাজি না পোড়ান। দীপাবলির সময় শুধু মাত্র রাত ৮টা থেকে ১০টাই বাজি পোড়ানো যাবে। কল্যাণবাবু কার্যত অনুরোধ করেন, আগামী দিনের কথা ভেবে আপনারা ক্ষতিকর বাজি পোড়াবেন না। এই বৈঠকে বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের মেম্বার সেক্রেটারি রাজেশ কুমার। তিনি বলেন, ‘ডিজে সাউন্ডের বিরুদ্ধে নজরদারি চালানোর জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমারকে মেইল করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, পরিবেশ কর্মীদের সংগঠন ‘সবুজ মঞ্চ’ সমস্ত রকম বাজি নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়ে পরিবেশ মন্ত্রী ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের মেম্বার সেক্রেটারিকে চিঠি পাঠিয়েছে।