বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
হাওড়া হয়ে কালকাতাগামী বাসগুলি বিনা পারমটেই চলছে। বাবুঘাট হয়ে এরকমই একাধিক বাস চলাচল করছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এর মধ্যে আন্তঃরাজ্য বাসও রয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় মামলাকারীর আর্জি ছিল, এখানে কত সংখ্যক পারমিটহীন বাস চলে, আদালতে তাঁর বিস্তারিত রিপোর্ট দিক রাজ্য। মামলাকারীর আরও অভিযোগ ছিল, পারমিটহীন বাসগুলিকে শুধুমাত্র শোকজ ও ফাইন করেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে আরও অভিযোগ ছিল, যাদের বৈধ পারমিট রয়েছে, তাদের ইন্সপেকশনের নামে হেনস্তা করা হচ্ছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসটিএ’র সেক্রেটারি সমীর বিশ্বাসকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানে পারমিটহীন বাসগুলির ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা উল্লেখ করার পাশাপাশি বাসে জিপিএস লাগানোর ব্যাপারে পরিবহণ দপ্তর কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তাও জানাতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এছাড়াও রাজ্যে আসা কোন কোন বাসের আন্তঃরাজ্য চলাচলের অনুমোদন রয়েছে, তাও রিপোর্টে উল্লেখ করতে বলেছিল আদালত। পাশাপাশি পরিবহণ দপ্তরের সচিব ও ডেপুটি কমিশনার ট্রাফিককে নিয়ে কমিটিও তৈরি করতে বলা হয়েছিল। সম্প্রতি মামলার শুনানিতে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে। যা দেখে রীতিমত রেগে ওঠেন প্রধান বিচারপতি। এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীকে অবিলম্বে সেই রিপোর্ট প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘মার্চ মাসে শোকজ নোটিস দিয়েছেন। তারপর কী অ্যাকশন নিয়েছেন? কোনও উল্লেখ নেই রিপোর্টে। এটা কী করে হল? আদালতকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন!’
এরপর এসটিএ’র তরফে উপস্থিত আইনজীবী অমল সেনকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘আপনার সেক্রেটারি সমীর বিশ্বাস মনে হয়, এখনও হাইকোর্ট দেখেননি। সাবধান করে দিন। না হলে আমরা কড়া ব্যবস্থা নেব। আমরা রিপোর্ট পড়ে দেখেছি। এটা আদালতের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়।’ এরপরই নতুন করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেইসঙ্গে যাদের বৈধ পারমিট রয়েছে, তাদের কোনওভাবে হেনস্তা করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেছে হাইকোর্ট।