বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
বর্তমানে খরচ বেড়েছে স্কুলগুলির। নানা প্রকল্পের জন্য রিপোর্ট তৈরি, তথ্য রাখার জন্য কাগজ এবং প্রিন্টিংয়ের খরচ বেড়েছে। এর পাশাপাশি স্কুলের নিজস্ব হাজিরা খাতা, বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত বড় খাতা, চক, ডাস্টার কেনা, স্কুলের ছোটখাটো মেরামতি তো রয়েছেই। সরকারি সাহায্য না পেয়ে বেশ বিপাকে পড়েছে স্কুলগুলি। শিক্ষকদের বক্তব্য, অনেক খরচই এখন স্কুলের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের বিল স্থানীয় পঞ্চায়েত, পুরসভার দেওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ সময়েই সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না। বিল বকেয়া থাকার জন্য সংযোগ কাটার হুঁশিয়ারিও পাচ্ছে কোনও কোনও স্কুল। ফলে, বাধ্য হয়ে কিছু প্রধান শিক্ষক বা অন্য শিক্ষকরা গাঁটের কড়িও খরচ করছেন।
এমনিতে এপ্রিল মাসে এই টাকা রাজ্যের কাছ থেকে পেয়ে থাকে স্কুলগুলি। গত বছর তা কয়েক মাস বাদে ছাড়া হয়েছিল। তবে, এ বছর সেপ্টেম্বর গড়িয়ে যেতে চললেও সেই টাকা পায়নি কোনও স্কুল। এ প্রসঙ্গে রাজ্য সমগ্র শিক্ষা মিশনের কোনও আধিকারিক প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, দেরির কারণ হিসেবে কেন্দ্রের টাকা না আসাকেই উল্লেখ করছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ৫০ জন পর্যন্ত ছাত্র থাকলে স্কুলগুলি বার্ষিক পাঁচ হাজার টাকা পায়। ১০০ জন পর্যন্ত ছাত্রের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ১২ হাজার ৫০০ টাকা। কোনও স্কুলে ১০০-এর বেশি ছাত্রছাত্রী থাকলে সেটিকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা বলেন, স্কুলের খরচ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাই এই টাকা না পেলে খুবই সমস্যা হচ্ছে। বিজেপিপন্থী
শিক্ষক নেতা পিন্টু পাড়ুই বলেন, ‘নিজের গাঁট থেকে পয়সা খরচ করে চলাটা কোনও সমাধান হতে পারে না।’ কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়ার প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি, কিছু টাকা তো দিয়েছে। তা থেকেই সরকার দিক। তাছাড়া, রাজ্যের তো নিজস্ব বাজেট রয়েছে।