বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
সম্প্রতি রেলের একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৫ জুন থেকে ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরেরও কিছু বেশি সময়সীমায় মোট ২৪ বার রেলকে বেলাইন করার চেষ্টা হয়েছে। নাশকতা ঘটিয়ে রেলযাত্রীদের প্রাণহানি ঘটানোর চক্রান্ত হয়েছে। এবার গুজরাতের ঘটনার প্রেক্ষিতে রেল বোর্ডের আধিকারিকদের দাবি, ওই সংখ্যা সম্ভবত ৩০টি পেরিয়ে গিয়েছে। কারণ উল্লিখিত রিপোর্ট প্রকাশের পরও বেশ কয়েক দফায় এমন ছবি সামনে এসেছে।
শনিবার ঠিক কী ঘটেছে সুরাতে? পশ্চিম রেলের বরোদা ডিভিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিন ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ সুরাতের কাছে কিম স্টেশন নিকটবর্তী অংশে আপ লাইনে ফিস প্লেট এবং প্যান্ড্রোল ক্লিপ খোলা অবস্থায় দেখতে পান সুভাষ কুমার নামে একজন রেলকর্মী। তিনি কয়েকজন দুষ্কৃতীকে লাইন ধরে পালাতেও দেখেন। কালবিলম্ব না করে ওই রেলকর্মী ঘটনার কথা জানান কিমের ডেপুটি স্টেশন সুপারকে। অবিলম্বে নির্দেশ জারি করা হয়, আপ লাইন দিয়ে যেন কোনও ট্রেন পাস না করানো হয়। ওই সময়ই সংশ্লিষ্ট আপ লাইনে আসছিল হজরত নিজামুদ্দিন-বান্দ্রা টার্মিনাস গরিব রথ এক্সপ্রেস। জরুরি বার্তা পাঠানো হয় ওই ট্রেনের লোকো পাইলট এবং সহ চালকের কাছে। মাঝপথেই ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। পরে সকাল ৬টা নাগাদ রেল লাইন মেরামত করে দেওয়া হয়। চালু হয় ট্রেন চলাচল। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই সব রেলকর্মীকে টেকনিক্যাল অ্যানালিসিসের প্রাথমিক পাঠ নিতে বলেছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান সতীশ কুমার। যাতে বিশেষ করে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিংয়ে কোনও
সমস্যা হলে ডেটা লগারের ‘কোড’ উদ্ধার করতে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না হয়। রেলওয়ে ট্র্যাকের পেট্রলিং টিমকেও আরও সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।