বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ৯ আগস্ট স্বতঃপ্রোণদিত মামলা রুজু করে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ডাক্তারদের পৃথক চারটি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা সেরেছে কমিশন। যাঁদের মধ্যে ছিলেন – জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, আর জি করের প্রাক্তনী এবং ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলির ব্যানারে ডাক্তারবাবুরা পথে নেমে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। সূত্রের দাবি, চার প্রতিনিধি সংগঠনের সদস্যরা লিখিত কার্যবিবরণীতে কেবলমাত্র কলকাতার পুলিস কমিশনারের অপসারণ চেয়েছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, তবে কী পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য সচিব কিংবা দুই স্বাস্থ্য অধিকর্তার বদলির দাবি যুক্ত হল? কে বা কারা এই দাবি পেশের নেপথ্যে রয়েছে? তবে কী অন্য কোনও ‘কায়েমি স্বার্থান্বেষী’ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে চিকিৎসকদের আন্দোলনে গতিবিধি?
উল্লেখ্য, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনায় নবান্নের বক্তব্য জানতে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্য সচিবকে তলব করেছিল। শুক্রবার কমিশনের ফুল বেঞ্চের সামনে হাজিরা দেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। এ প্রসঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান জ্যোর্তিময় ভট্টাচার্য বলেন, ডাক্তারদের চারটি গ্রুপ লিখিতভাবে যে দাবি পেশ করেছিল, তা নিয়ে রাজ্য কী পদক্ষেপ করেছে জানতে চাওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, একাধিক দাবি পূরণ করা হয়েছে। পরিকাঠামোগত কিছু বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জ্যোর্তিময়বাবু স্পষ্ট বলেন, ডাক্তারদের চারটি পৃথক প্রতিনিধি দলের কথা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে শুনেছি। লিখিত সেই কার্যবিবরণী সমস্ত পক্ষকে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের দাবিপত্রে কখনই স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ চাওয়া হয়নি। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, কমিশনের তরফে সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের উন্নয়নে একাধিক বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। নিজেদের বক্তব্য ফুল বেঞ্চের সামনে রেখেছি। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত লিখিত রিপোর্ট কমিশনে জমা দেওয়া হবে।
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, আন্দোলনের প্রাথমিক পর্বেই ডাক্তারবাবুরা কেন স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ চাননি? মানবাধিকার কমিশনের কার্যবিবরণীতে না থাকলেও কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার আগে আমলাদের চেয়ার ছাড়া করার ‘চাহিদা’ আচমকা কেন তৈরি হল? উত্তর খোঁজার কাজ চলছে।