বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
গত সোমবার থেকে স্ত্রীকে নিয়ে এসএসকেএম (পিজি) হাসপাতাল আসা-যাওয়া করছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই ব্যক্তি জানালেন, তাঁর স্ত্রী জটিল স্ত্রীরোগে আক্রান্ত। ছ’দিন ধরে পিজি হাসপাতাল চক্কর কাটতে কাটতে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। সরকারি হাসপাতালে নামমাত্র খরচে চিকিৎসার জন্য মানুষ আসেন। কিন্তু, এই ছ’দিন শহরে থাকতে গিয়ে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে তাঁর। কারণ, হাসপাতালের কাছেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় বাড়ি তাঁদের। স্ত্রীকে প্রথমে দেখাচ্ছিলেন ঘাটালের সরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে পিজি হাসপাতালে রেফার করা হয় ৫২ বছরের ওই গৃহবধূকে। শুরুতেই তাঁকে একাধিক টেস্ট করানোর কথা বলেছেন চিকিৎসক। হাসপাতাল থেকেই সেগুলি করাতে হবে। কিন্তু ডাক্তার নেই বলে পরীক্ষার তারিখই পাচ্ছেন না তাঁরা।
তাঁর স্বামীর কথায়, ‘হাসপাতালের কাছেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছি। প্রতিদিন ভাড়া ৬০০ টাকা। এরপর তো রয়েছে সারাদিনের খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য খরচ। স্ত্রীর ওষুধপত্রও কিনতে হচ্ছে। জল কিনতে হচ্ছে। আরও কতদিন এভাবে থাকতে হবে, জানি না।’ তাঁর গলায় চলতি বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ শোনা গেল। বললেন, ‘বন্যায় এমনিতেই আমাদের সব চাষজমি জলের তলায়। বহু টাকার ফসল ক্ষতি হয়েছে। তার উপর এই খরচ! কীভাবে চালাব, ভাবতে পারছি না।’ প্রৌঢ়ের স্ত্রী আরও ক্ষিপ্ত। তিনি বললেন, ‘নির্যাতিতার পাশে শুধু চিকিৎসকরা কেন, আমরা সবাই আছি। কিন্তু জরুরি পরিষেবায় থাকা ডাক্তাররা তাঁদের শপথ ভেঙেছেন এই কর্মবিরতি করে। তাঁরা তো বিচার এনে দিতে পারলেন না। তাহলে এই ৪০ দিনে রোগীদের ভোগান্তির বিচার করবে কে?’