বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার উত্তম ঘোষ বলেন, ভিডিও গেম খেলা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল ওদের মধ্যে। যার জন্য গলায় নাইলনের দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রকে খুন করা হয়। দু’জনকে আটক করা হয়েছে। খুনের তদন্ত চলছে। জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণির এক বন্ধুর কাছে প্রথমে ফ্রি ফায়ার গেমের আইডি পাসওয়ার্ড ছিল। দশম শ্রেণির সেই ছাত্রই ভিডিও গেম খেলত। এরই মধ্যে প্রীতম বিশ্বাসকে তাঁর মা-বাবা নতুন স্মার্টফোন কিনে দেয়। সেইমতো ঘটনার মাস দুই আগে প্রীতম তার দশম শ্রেণির বন্ধুর কাছ থেকে ফ্রি ফায়ার গেম খেলার জন্য তার আইডি পাসওয়ার্ডটি নেয়। সেইমতো বন্ধুর আইডি পাসওয়ার্ডেই ভিডিও গেম খেলতে থাকে প্রীতম। খেলতে খেলতে গেমের লেভেল উপরে যেতে থাকে। পাশাপাশি গেম খেলার জন্য নানা সরঞ্জামও প্রীতম জিতে নেয়। এরই মধ্যে বন্ধুর আইডি পাসওয়ার্ডটি প্রীতম পরিবর্তন করে দেয়। আইডি পাসওয়ার্ড বদলে ফেলতেই সেই বন্ধু ফ্রি ফায়ার গেম খেলার অ্যাক্সেস হারায়। এই নিয়েই দুই বন্ধুর মধ্যে বচসার সূত্রপাত। নতুন আইডি পাসওয়ার্ড প্রীতমের কাছ থেকে একাধিকবার জানতে চায় সেই বন্ধু। কিন্তু তা দিতে রাজি হয়নি সে। এতে প্রীতমের উপর ক্ষোভ বাড়ছিল বন্ধুর। নতুন করে আইডি বানিয়ে গেম খেললে আবার প্রথম লেভেল থেকে শুরু করতে হবে। অথচ পুরনো আইডিতে তার অনেকগুলো লেভেল ইতিমধ্যে ওঠা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু প্রীতম তাই পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে দেওয়ায় সেই ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে পারছিল না।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টিউশন থেকে ফেরার পথে ওই বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে প্রীতম। দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সেখানে নবম শ্রেণির আরও এক ছাত্র ছিল। তখন প্রথমে প্রীতমের মাথায় তারা আঘাত করে। প্রীতম জ্ঞান হারালে দশম শ্রেণির ওই ছাত্র গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করে প্রীতমকে। তাতে সহযোগিতা করে অন্যজন।