বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
আর জি করের ঘটনার তদন্তে নেমে এক হাউস স্টাফের গতিবিধি নিয়ে প্রথম থেকে সন্দেহ ছিল তদন্তকারীদের। রহস্য আরও বাড়ে, যখন তিনি ৯ আগস্টই সল্টলেকের গেস্ট হাউসে এসে ওঠায়। এই বিষয় জানতেই তাঁকে দফায় দফায় বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও, সংশয় কাটেনি। তদন্তকারীদের কাছে তিনি বারবার দাবি করে আসছেন, ওইদিন (৯ আগস্ট) তিনি আর জি করেই যাননি। বান্ধবীকে নিয়ে ছিলেন গেস্ট হাউসে। অথচ তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন বলছিল, তিনি ওইদিন সকাল থেকেই হাসপাতালেই রয়েছেন। তদন্তকারীরা ছবি সহ এর প্রমাণ খুঁজছিলেন। সেই ছবি দু’দিন আগেই তাঁদের হাতে এসেছে বলে সূত্রের খবর। সন্দীপ ঘোষের দাবি ছিল, ঘটনাোর খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি হাজির হয়েছিলেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সন্দীপ ঘোষের সামনে আরও অনেকের সঙ্গেই দাঁড়িয়ে আছেন ওই হাউস স্টাফ। তদন্তকারী আধিকারিদের বক্তব্য, অধ্যক্ষের কথায় মান্যতা দিলে বোঝা যাচ্ছে ওই হাউস স্টাফ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সেমিনার হলের সামনে হাজির ছিলেন। তাহলে তিনি কী করে সল্টলেকের গেস্ট হাউসে রইলেন? তদন্তকারীদের প্রশ্ন, তাঁর নামে গেস্ট হাউস বুকিং করা হলেও কি, সেখানে অন্য কেউ ছিলেন? যদি তাই হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি কে? আর সংশ্লিষ্টের সঙ্গে ওই চিকিৎসকের যোগই বা কী? যদিও সিবিআইয়ের কাছে ওই হাউস স্টাফ জানিয়েছেন, বান্ধবীকে নিয়ে উঠেছিলেন। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, তাহলে কী সকালে ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে দুপুরে গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন? নাকি নির্যাতিতাকে ধর্ষণ ও খুনের সময় রাতভর হাসপাতালে কাটিয়ে সকালে সেখানে গিয়েছিলেন? এই জট খোলার চেষ্টা করছেন এজেন্সির অফিসাররা। সন্দেহ আরও বেড়েছে, একদিন গেস্ট হাউসে কাটিয়ে ওই হাউসস্টাফ ফের পরের দিন হাসপাতালে হাজির হওয়ায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, অবস্থানরত ডাক্তারদের নিগ্রহ করার। তারপরই গা ঢাকা দিয়েছিলেন। আর তাঁর এই রহস্যজনক গতিবিধির কারণটা কী, জানতে মরিয়া সিবিআই।