বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে শুরু হয়েছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান-বিক্ষোভ। সল্টলেক সেক্টর ফাইভের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা শুক্রবার পর্যন্ত একটানা ১১ দিন ধরে বন্ধ ছিল। রাস্তায় প্যান্ডেল করে চলছিল বিক্ষোভ। এদিন অবস্থান উঠে যাওয়ায় রাতেই খোলা হল প্যান্ডেল। আজ, শনিবার থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনের রাস্তা দিয়ে শুরু হবে যান চলাচল। ওই রুটের বাসগুলি এতদিন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে দিয়ে যাতায়াত করতে পারছিল না। আজ থেকে চলবে বাস। যাত্রীদের বক্তব্য, ‘যাতায়াত সুগম হওয়ায় দুর্ভোগ কাটল সবার।’ এদিন বাসে নিত্যযাত্রীদের বলতে শোনা গিয়েছে, ‘রাস্তাটা খুলল। বাঁচলাম।’
আজ, শনিবার থেকে জরুরি পরিষেবায় যোগ দেবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অবস্থান তুলে নেওয়ার শেষ দিন, শুক্রবার স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই অফিসের সামনে পর্যন্ত মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই মিছিলে সকলকে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কিন্তু, এদিন বিকেলে সেই ভিড়ের ছবি দেখা যায়নি বলে মত অনেকের। বাইরে থেকে এসে অনেকে যোগ দিলেও প্রত্যাশিত জমায়েত হয়নি। গত রবিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের পক্ষ থেকে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত একটি মহামিছিল হয়েছিল। স্থানীয়রা মনে করছেন, শুক্রবারের মহামিছিলের থেকে গত রবিবার ভিড় বেশি হয়েছিল। সেদিনের মিছিলে একটি আবাসন থেকে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশে শঙ্খধ্বনি এবং উলু দিতেও দেখা গিয়েছিল। এদিন সেই উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি। শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সের আগে মিছিল শেষ হয়। রাস্তার উপর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু মিছিল শেষ হওয়ার পর কয়েক মিনিটের মধ্যে ভিড় পাতলা হয়ে যায়। বক্তব্য শেষ হওয়া পর্যন্ত কেউ অপেক্ষা করেননি। অনেকে বলছেন, এতদিন ভিড় দেখে অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল আন্দোলনকারীদের। ভিড়ের
সঙ্গে সমর্থনও হালকা হয়েছে। সেই ছবিই ফুটে উঠেছে এদিনের মহামিছিলে।