বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অফিসাররা জেনেছেন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে নগদ নিয়ে আসতেন প্রসন্ন রায়। বিভিন্ন এজেন্টদের কাছ থেকে পাওয়া টাকা তিনি পার্থকে দিতেন। সঙ্গে থাকত চাকরি প্রার্থীদের তালিকা। প্রার্থী জোগাড়ের জন্য প্রতিটি জেলায় একাধিক এজেন্ট রেখেছিলেন প্রসন্ন। যাঁরা মূলত টাকা সংগ্রহ করতেন পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে। প্রসন্নের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ঘেঁটে নতুন করে ৭২ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। যে টাকা আসলে পার্থর বলে দাবি ইডির। এজেন্টদের কাছ থেকে আসা এই টাকা প্রসন্নর কাছে রেখে দিয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
তদন্তে উঠে এসেছে, নিয়োগ দুর্নীতি করে আসা টাকায় রাজারহাটে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছেন প্রসন্ন। যার পুরোটাই বেনামে রয়েছে। নায্য দাম না দিয়ে তিন লক্ষ টাকায় কৃষকদের কাছ থেকে বিঘার পর বিঘা জমি কেনা হয়েছিল। এই সমস্ত কৃষকদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। কৃষকরা ইডিকে জানিয়েছেন, জমির কাঠা পিছু দাম ছিল পাঁচ লক্ষ টাকা। তাঁদের ‘গান পয়েন্টে’ বাধ্য করা হয়, কম দামে জমি বিক্রি করতে। এই কাজে প্রসন্নকে সাহায্য করেন পার্থবাবু। দুর্নীতির টাকায় রাজারহাটেও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বেনামে বিপুল জমি কিনেছিলেন। এমনকী হুগলি ও হাওড়াতে কয়েক শো বিঘা জমি অন্যের নামে পার্থবাবু কিনেছিলেন বলে নথি পেয়েছে ইডি।
ইডির দাবি, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিপুল পরিমাণ নগদ হাওলা করে বিদেশে পাঠিয়েছেন প্রসন্ন। নিজের টাকাও পাচার করেছেন এই মিডলম্যান। যে সমস্ত হাওলা কারবারিরা দুর্নীতির টাকা পাচারে সাহায্য করেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ইডি জেনেছে ১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকা পৌঁছেছিল দুবাইতে। তদন্তকারীদের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী এই টাকায় দুবাইতে চারটি হোটেল কিনেছেন প্রসন্ন। তাতে পার্থর বেআইনিভাবে অর্জিত টাকাও বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়া দুবাইয়ের অন্যান্য কারবারেও টাকা লগ্নি করা হয়েছে বলে খবর।।