বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
তবে এই ধরনের অভিযোগ এবার ইতিহাসই হতে চলেছে। এগুলি পেতে আর কোনও অফিসে বা ব্যক্তির কাছে ছুটতে হবে না। কারণ, রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরের উদ্যোগে এবার এক ক্লিকেই এই সমস্ত শংসাপত্র প্রদানের ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় অনলাইনে ইনকাম, রেসিডেন্সিয়াল এবং ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট প্রদানের ব্যবস্থা চালু করছে রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর।
রাজ্য সরকার সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত স্তরেও অনলাইনে একাধিক পরিষেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর প্রধান লক্ষ্য, সাধারণ মানুষের প্রয়োজনমতো অনলাইন পরিষেবা চালু করা। সেই লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে বার্ষিক ক্যালেন্ডারও। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, অনলাইনে শংসাপত্র প্রদান প্রকল্প।
এই সমস্ত শংসাপত্র অনলাইনে পেতে কী করতে হবে? রাজ্যের এক আধিকারিক জানান, পঞ্চায়েত দপ্তরের নির্দিষ্ট পোর্টাল বা আগামী দিনে যে অ্যাপ চালু করা হবে তার মাধ্যমেই শংসাপত্রের জন্য আবেদন করা যাবে। এই আবেদন একেবারে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলে যাবে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা এই আবেদনের সঙ্গে গৃহীত সমস্ত তথ্য যাচাই করবেন। সব ঠিকঠাক থাকলে দিনকয়েকের মধ্যে অনলাইনেই আবেদনকারীর কাছে পৌঁছে যাবে তাঁর শংসাপত্র। তাতে থাকবে পঞ্চায়েত প্রধানের ই-সিগনেচার। সরাসরি পোর্টাল বা অ্যাপ থেকেই শংসাপত্র ডাউনলোড করে তার প্রিন্ট-আউট নিতে পারবেন আবেদনকারী।
পরিষেবাটি চালু করার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। ওয়েস্ট বেঙ্গল পঞ্চায়েত ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অধীনে এই প্রকল্পের কাজ হবে। কিছুদিন আগে শীর্ষ কর্তাদের এক বৈঠকে প্রকল্পটি নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়ে গিয়েছে। প্রকল্পটি দ্রুত রূপায়ণেরই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক কর্তা জানান, দুর্গাপুজোর আগেই এই পরিষেবা চালু করতে চায় নবান্ন।