বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
এতদিন যেমন-তেমন করেই বহু বেসরকারি বিএড কলেজ চলত। শিক্ষকের মান, পরিকাঠামো, ছাত্র ভর্তির পদ্ধতি—কিছুই প্রায় মানা হতো না। গতবছর থেকে এ নিয়ে নজরদারি শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। আর তাতেই বিপাকে পড়েছে বহু কলেজ। চালু কলেজের অর্ধেকই অনুমোদন প্রায় হারাতে বসেছিল। পরবর্তীতে অধিকাংশ কলেজ কোনওভাবে তা ঠেকাতে পারলেও, বেশকিছু কলেজ শেষপর্যন্ত অনুমোদন আওতার বাইরে থেকে যায়। চলতি বছরেও সেই অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি হতে পারে ভেবে কলেজ কর্তৃপক্ষের ঘুম ছুটেছে।
তথ্যাভিজ্ঞ বলছে, ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত অনার্স বিষয়ে ৫০ শতাংশ বিএড এবং এমএডে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকলে কলেজ শিক্ষক হওয়া যেত। তবে তারপর থেকে ন্যূনতম নেট বা সেট উত্তীর্ণ হওয়ার শর্তটি আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা। সেই শর্ত অনুযায়ী যোগ্যতামানে উত্তীর্ণ শিক্ষকের সংখ্যা একেবারেই হাতেগোনা। আর বহু কলেজের ভয় সেখানেই। তাহলে কি এবছরও ছুটে মরতে হবে অনুমোদন আদায়ের জন্য? কলেজগুলির মাথায় সেই চিন্তাই ঘুরছে।
বহু কলেজ অবশ্য গতবছরের ফন্দিতেই বাজিমাত করার আশায় রয়েছে। যে সমস্ত কলেজে প্রয়োজনীয় শিক্ষক ছিলেন, সেগুলি থেকে তাঁদের লিয়েনে এমন কলেজে আনা হয়েছিল, যেগুলিতে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নেই। একটি কলেজের তথ্য যাচাই হয়ে যাওয়ার পরেই সেই শিক্ষকরা চলে যেতেন অন্য কলেজে। এভাবেই চলত ‘ফাঁকিবাজি’। কলেজগুলির বক্তব্য, এত বেশি সংখ্যক নেট বা সেট উত্তীর্ণ শিক্ষক পাওয়া সম্ভব নয়। ফলে, নিয়মরক্ষার জন্য এটুকু করতেই হয়েছে। এবারও সেই নিয়মেই বাজিমাত হবে বলে তাদের আশা।
বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দিয়েছে, প্রতি ১০ জন শিক্ষক পিছু ৩০ হাজার টাকা জমা দেবে কলেজগুলি। টাকা পাওয়ার পরে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শুরু করবে বিশ্ববিদ্যালয়। বেসরকারি বিএড কলেজগুলির সংগঠন ইউনাইটেড ফোরামের সভাপতি তপন বেরা বলেন, আমাদের দাবি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই যাবতীয় যাচাইকরণ শেষ করে কলেজগুলির অনুমোদন দিক। পড়ুয়া ভর্তি নিয়ে ক্লাস শুরু হয়ে যাক সময়মতো। গতবারের বিপত্তি যেন আর না-হয়। চিঠি দিয়ে সেই আবেদন জানানোর পরে বিশ্ববিদ্যালয় সাড়া দিয়েছে। যথাসময়ে শুরুও করেছে সমস্ত প্রক্রিয়া। এজন্য উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই।