বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের ফল নিয়ে কাঁটাছেঁড়া শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। এবার তৃণমূল ২৯টি আসন জিতলেও সন্তুষ্ট নয় শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁরা মনে করছেন, সাংগঠনিক দুর্বলতা মেরামত করা গেলে আরও কয়েকটি আসনে জয় সম্ভব ছিল। এই বিশ্লেষণেই জানা যাচ্ছে, ভোটের ফলের নিরিখে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যান থেকে পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের এলাকাতেই বিজেপির তুলনায় পিছিয়ে পড়েছেন। বিশেষত শহরাঞ্চলে। দু’বছরের মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে জনপ্রতিনিধিদের কাজকর্মে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ‘ঢিলেমি’ মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই অভিষেকের সুস্পষ্ট মত, ‘ওড়িশার দিকে তাকান। বিজু জনতা দলের যা অবস্থা হয়েছে, তার থেকে শিক্ষা নিতে হবে। কাজ করুন। না পারলে পদ থেকে সরে যান। নিজেদের এলাকায় পিছিয়ে পড়ার অর্থ, আপনাকে যাঁরা এক সময় ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরাই এখন আর আপনার উপর সন্তুষ্ট নন।’ তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে ৫১ দিন কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছেছিলেন অভিষেক। শুনেছিলেন সমস্যা, অভাব-অভিযোগের কথা। প্রশাসনের সহায়তায় সমাধানও করেছিলেন। এই প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মহলে অভিষেক জানিয়েছেন, দল কাউকে মন্ত্রী করলে সেই পদের মর্যাদা রাখতে হবে। পদ পেয়েছেন বলেই তা শুধুই আঁকড়ে ধরে থাকলে চলবে না। মানুষের জন্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। পরিষেবার উপর কিছু হয় না। আম জনতাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি যে কোনও মূল্যে রক্ষা করতে হবে। এটা প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির কর্তব্য।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে সাময়িক ‘বিরতি’ নিতে চলেছেন অভিষেক। চিকিৎসার জন্য প্রথমে কলকাতায়, আর তারপর দেশের বাইরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, প্রায় মাস দুয়েক ‘বিরতি’ নেবেন তিনি। তবে এই সময়ে অভিষেক নিজস্ব সোর্স মারফত দল এবং সাধারণ মানুষের সমস্যার খোঁজখবর রাখবেন। তার আগে আজ, শুক্রবার ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চান অভিষেক। আমতলায় তাঁর একটি কর্মসূচি রয়েছেন। কর্মীদের সঙ্গেও মিলিত হবেন তিনি।