পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
শিবপুর সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন কমিটির নির্বাচনে মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়ার তারিখ ছিল ১৮ ও ১৯ নভেম্বর। অনলাইনেও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বিজেপি বা সিপিএমের মতো বিরোধী শিবিরের কোনও প্রার্থীই মনোনয়নপত্র জমা দেননি। ফলে ২২ নভেম্বর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পায় তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার মধ্য হাওড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘শুধু এই ব্যাঙ্কে নয়, লিলুয়া, সাঁতরাগাছি, বালিটিকুরি, বালি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। মানুষ যে বিরোধীদের প্রত্যাখ্যান করেছে, এই ভোটই তার প্রমাণ। বিরোধীরা কুৎসা অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু করতে পারে না।’ মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়া প্রসঙ্গে হাওড়া জেলার বিজেপির সভাপতি রমাপ্রসাদ ভট্টাচার্য বলেন, ‘সারা রাজ্যের মানুষ জানেন যে, তৃণমূল নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখে না। শিবপুর কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। এমনটা নয় যে, আমরা প্রার্থী দিতে পারিনি। এই প্রহসনের ভোট আমরা বয়কট করেছি।’
সমবায় ব্যাঙ্কগুলির নির্বাচনে বিরোধীরা যে ফের শূন্য পাবে, এব্যাপারে নিশ্চিত শাসকদল। তৃণমূল এই বাড়তি ‘কনফিডেন্স’ পেতেই প্রশ্ন উঠেছে হাওড়া পুরসভা নির্বাচন নিয়ে। তৃণমূলের দাবি, পুরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হলে প্রার্থী বাছাই নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। এখানে দলের সুপ্রিমোর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘বালির বাসিন্দাদের দাবি মেনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়া পুরসভা থেকে বালিকে পৃথক করেছিলেন। এরপর বেশ কিছু সমস্যা আসে। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতি ও একের পর এক নির্বাচন থাকায় পুর নির্বাচন করা যায়নি। তবে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা রাজ্য সরকার উপলব্ধি করেছে।’ এদিকে নতুন সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযানের ফাঁকে পুরভোট নিয়ে যে বিজেপিও আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে, তা এদিন পদ্ম শিবিরের জেলা নেতৃত্বের কথাতেই স্পষ্ট। বিজেপির জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদবাবু বলেন, ‘আমাদের সংগঠন মজবুত করার কাজ চলছে। পুর ভোট নিয়ে আমরাও নিজেদের মতো করে পরিকল্পনা করছি। বিরোধীশূন্য বলে তৃণমূল যতই দাবি করুক, ভোটে আমরা এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না।’