পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, রাজাপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই বধূর স্বামী পটচুলের কাজ করেন। সেই সূত্রে রাজাপুর থানার বাণীবন জগদীশপুরের বাসিন্দা শেখ মুস্তাকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় এবং মাঝেমধ্যে তাঁদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে থাকে অভিযুক্ত। বধূর অভিযোগ, ২ অক্টোবর তিনি বাড়ির ছাদে পোশাক পরিবর্তন করছিলেন। তখন মুস্তাক লুকিয়ে বাড়িতে এসে তাঁর অজান্তে সেই ঘটনার ভিডিও করে। এরপর ১৬ নভেম্বর মুস্তাক তাঁর বাড়িতে এসে সেই ভিডিও তাঁকে দেখায়। এমনকী সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণও করে।
বধূর বক্তব্য, প্রথমে লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি তিনি কাউকে জানাননি। যদিও পরে পরিবারের সবাইকে বিষয়টি জানালে তাঁরা মুস্তাককে আমাদের বাড়িতে ডাকেন। এরপর মুস্তাকের মোবাইল পরীক্ষা করলে দেখা যায়, তার মোবাইলে সেই ভিডিও আছে এবং ইতিমধ্যে সে সেই ভিডিও বিভিন্ন জায়গায় শেয়ারও করেছে। বধূর অভিযোগ, বিষয়টি পুলিসকে জানানোর কথা বললে অভিযুক্ত শেখ মুস্তাক, তার বাবা শেখ মহব্বত সহ প্রায় পঞ্চাশজন আমাদের বাড়িতে হামলা করে। তারা আমাদের মুদিখানা দোকানে হামলা চালিয়ে জিনিসপত্র লুট করে নেয়। বাড়ির বয়স্ক ও মহিলারা বাধা দিতে এলে তাঁদেরও অভিযুক্তরা মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। এমনকী বিষয়টি পুলিসকে জানালে তাঁদের জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার হুমকিও দেয়। এরপরেই বধূ তাদের নামে রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।