ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
নতুন স্কুলে নতুন পরিবেশে নতুন বন্ধুদের সঙ্গে পড়াশোনা। একারণে অনেক সময় আগের স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ থাকে না। বন্ধুবিচ্ছেদও হয় কারও কারও। প্রাথমিকের এই বিদায়বেলা আরও একটু বিলম্বিত হতে চলেছে শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশে। শিক্ষাদপ্তর অনেক আগেই পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই মতো প্রতিটি জেলায় কোন কোন স্কুলের পরিকাঠামো কেমন, সেই রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়। রাজ্যে মোট প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা ৪৯ হাজার ৩৭৫টি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের অনেক প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিকে যুক্ত করা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে তারা অন্য স্কুলে যাচ্ছে। বুধবার রাজ্য শিক্ষাদপ্তরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলিকে পঞ্চম শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনায় প্রাথমিক স্কুলের মোট সংখ্যা ৩ হাজার ৫৬৫টি।
২০১৮ সালে রাজ্যের শিক্ষাদপ্তর নির্দেশিকা জারি করে বলে, যে সব প্রাথমিক স্কুলে বর্তমানে শিশু শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হয়, সেখানে ক্লাসরুমের সংখ্যা, কতজন শিক্ষক-শিক্ষিকা, কত পড়ুয়া রয়েছে, সব তথ্য জরুরি ভিত্তিতে জমা দিতে হবে। শেষমেশ সব দিক বিচার করে শিক্ষাদপ্তর উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকা ১৫৮টি প্রাথমিক স্কুলকে পঞ্চম শ্রেণিতে উন্নীত করার কথা গত বুধবার ঘোষণা করেছে। কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলে পড়াশোনার জন্য আরও কিছু চিন্তাভাবনা করছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষাদপ্তর। ঠিক হয়েছে, তৈরি করা হবে অডিটরিয়াম, কিচেন গার্ডেন, স্মার্ট ক্লাসরুম। এনিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষাদপ্তরের চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার বলেন, আমরা কিছু যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দ্রুত ক্লাস চালু হবে। আমার ধারণা, গোটা দেশে এই ভাবনা কোনও মুখ্যমন্ত্রী নেননি। বসিরহাট মহকুমা এলাকার বেশ কয়েকটি স্কুলে পরিকাঠামোর আরও উন্নতি করা হবে। রুম রয়েছে ঠিকই, কিন্তু পড়ুয়ারা যাতে আরও চাপমুক্ত পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারে, তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, প্রাথমিক স্কুলগুলিতে পঞ্চম শ্রেণি চালু হলে স্কুলছুটের সংখ্যা অনেকটা কমবে। পঠন-পাঠনেরও উন্নতি হবে।