ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ঘুরতে চললেও পানিহাটির জঞ্জাল সমস্যার সমাধানের কোনও আশাব্যঞ্জক চিত্র চোখে পড়েনি। বরং পুজোর আগে থেকেই এই সমস্যা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আন্দোলনের চাপে বছরের শুরু থেকে রামচন্দ্রপুর ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা ফেলা বন্ধ রয়েছে। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া মুড়াগাছায় পুরসভার ৪.৩২৫ একর জায়গা রয়েছে। ওই জায়গায় নতুন আধুনিক ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই ওই জমিতে বাউন্ডারি ওয়াল দেওয়ার জন্য আর্থিক বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু ওই জায়গাটি খড়দহ বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। সেখানকার বাসিন্দারা আবার ওই জায়গায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড করতে দিতে রাজি নন। বর্তমান পরিস্থিতিতে পানিহাটির কাছে বিকল্প কোনও জায়গা নেই। তাই মুড়াগাছাতেই নতুন ডাম্পিং গ্রাউন্ড দ্রুত তৈরি করতে চাইছে নগরোন্নয়ন দপ্তর। সেকারণে, আজ দপ্তরের কনফারেন্স হলে বৈঠক ডাকা হয়েছে। তাতে ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও সাংসদ সৌগত রায়, মন্ত্রী তথা খড়দহের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ, পুর চেয়ারম্যান মলয় রায় উপস্থিত থাকবেন। আধিকারিকরা বলছেন, নতুন ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি হতে কিছুটা সময় লাগবে। তার আগেই পানিহাটি উৎসব সহ নানা অনুষ্ঠান রয়েছে। জঞ্জাল সমস্যার সুরাহা না হলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নেবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মাত্র দু’টি ডাম্পার আবর্জনা নিয়ে ধাপায় গিয়েছে। এখনও অমরাবতী মাঠে কমপক্ষে ৭০ ডাম্পার, রাজা রোডে ১০০ ডাম্পার, রবীন্দ্রনগরে ২০ ডাম্পার ও নীলগঞ্জ রোডে ৪০ ডাম্পার সমান আবর্জনা পড়ে রয়েছে। এছাড়া শহরের ছোট রাস্তা, অলিগলি, ফাঁকা জমি জঞ্জালে পরিপূর্ণ। প্রতিদিন শহরে ১৭০ থেকে ১৮০ টন আবর্জনা তৈরি হচ্ছে। যেকারণে নীলগঞ্জ রোড দিয়ে যাতায়াত কার্যত বন্ধ হওয়ার উপক্রম। স্থানীয় বাসিন্দারা নিরুপায় হয়েই বুধবার তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে দমকল এসে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুরসভার পূর্তদপ্তরের সিআইসি সোমনাথ দে বলেন, আমরা সকলে বৃহস্পতিবারের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। -নিজস্ব চিত্র