প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
সিদ্ধেশ্বরী কালীর নামেই এলাকার নাম সিদ্ধেশ্বরীতলা। জনশ্রুতি, কালীর স্বপ্নাদেশেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মন্দিরের। একসময় পাশ দিয়ে বয়ে যেত হুগলি নদী। তখন বহু মানুষ নৌকা করে যাওয়ার সময় মন্দিরে পুজো দিয়ে যেতেন। সে সময় অঞ্চলটি ঘন জঙ্গলে ভরা। সেই তন্ত্রসাধক পর্ণকুটির বানিয়ে কালীর নিত্য আরাধনা করতেন। ভূকৈলাশের রাজা পুত্রের আরোগ্য কামনায় হুগলি নদী ধরে বেনারসে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ স্বপ্নাদেশ পেলেন, সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিলে নাকি তাঁর পুত্রসন্তান সমস্ত রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পাবে। নৌকা থামিয়ে রাজা সিদ্ধেশ্বরী কালীর পুজো দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পুত্র সুস্থ হয়েও উঠল। কালক্রমে রানি বিরাজমোহিনী দেবীর দায়িত্বে আসে মন্দির। বর্তমানে গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার সেবায়েতের দায়িত্ব পালন করছে।
মন্দিরের সামনে নাটমন্দির, ভিতরে গর্ভগৃহ। সেখানে বিরাজ করেন কষ্টি পাথরের ত্রিনয়নী কালী। তিনি সোনা-রুপোর গয়নায় সজ্জিতা। বাম হস্তে রুপোর খাঁড়া। আগে মাটির মূর্তির পুজো হতো। ১৯২০ সাল নাগাদ কষ্টি পাথরের বিগ্রহ গড়ে তোলা হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও মহাসমারোহে কালীপুজো হচ্ছে। ছাগ বলির পরিবর্তে চালকুমড়ো ও আখ বলি দেওয়া হয়। আর আমিষ অন্নভোগ নিবেদন করা হয় দেবীকে।