নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: কালীপুজোর উদ্বোধনের দিনই বারাসত ও মধ্যমগ্রামে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। কিন্তু বারাসত শহরে কোথাও দর্শনার্থীদের জন্য বসানো হয়নি বায়ো টয়লেট। কেউ টাকা খরচ করে সুলভ শৌচাগারে, কেউ তা না করে প্রকাশ্যেই প্রস্রাব করছেন। দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে উঠেছে। এছাড়া, সকাল থেকেই দর্শনার্থীরা বারাসতে আসছেন টোটো বা অটো ভাড়া করে। ফলে, যানজটে নাকাল মানুষ। বারাসত ও মধ্যমগ্রাম মিলিয়ে বড় বাজেটের ২৪টি পুজো রয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয় এই দুই শহরে। এই বছরে গতবারের ভিড় ছাপিয়ে যাবে বলেই অনুমান উদ্যোক্তা ও পুলিসের। এজন্য পুলিসের তরফে গুচ্ছ উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। বারাসতে কালীপুজো যাতে ভালো করে হয়, মুখ্যমন্ত্রী সেই নির্দেশও দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর নির্দেশকে কার্যত পাত্তা দেওয়া হয়নি। দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের জন্য কোথাও পুরসভার তরফে ব্যবস্থা করা হয়নি বায়ো টয়লেটের। কেবলমাত্র বারাসত স্টেশন লাগোয়া একটি এলাকায় তা রয়েছে। কালীপুজোর সময়ে যশোর রোড, টাকি রোড কিংবা জাতীয় সড়ক দর্শনার্থীদের দখলে চলে যায়। এইসব এলাকার কোথাও বারাসত পুরসভা বায়ো টয়লেট বসায়নি। শহরে বেশ কয়েকটি জায়গায় সুলভ শৌচাগার রয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার জন্য টাকা খরচ করতে হয় মানুষকে। শুধু তাই নয়, পুজোর সময়ে সেগুলিতে থাকছে লম্বা লাইন। এই শৌচাগার-সমস্যা নিয়ে বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, দু’টি বায়ো টয়লেট দেওয়া রয়েছে স্টেশনের পাশে। নতুন করে আর বসানোর ভাবনা নেই।
এদিকে, মধ্যমগ্রাম পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে রয়েছে সুলভ শৌচাগার। তবুও অতিরিক্ত ভিড় হচ্ছে বুঝে বায়ো টয়লেট বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা। চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় বায়ো টয়লেট বসানো হচ্ছে।
অন্যদিকে, দুপুর তিনটে থেকে বারাসত মধ্যমগ্রামে নো-এন্ট্রির কথা ঘোষণা করেছে পুলিস। তবে তার আগেভাগেই দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা চলে আসছেন এই দুই শহরে। কেউ অটো, কেউ বা টোটোতে চেপে অলিগলিতে ঠাকুর দেখতে যাচ্ছেন। ফলে, তীব্র যানজটে নাকাল সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বারাসত শহর কার্যত স্তব্ধ। কোথাও এক ঘণ্টা ধরেও দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে মানুষকে। এ বিষয়ে বারাসত পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গী বলেন, সকালবেলাতেই বাইরে থেকে মানুষ আসছে, এটা সত্যি। তবে মানুষের যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য আমরা যানজটের বিষয়টি মেটানোর চেষ্টাও করছি।