হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাবা কালীদাস মুখোপাধ্যায়ের ভিটে ছিল বহড়ু ক্ষেত্র পঞ্চায়েতের উত্তর দুর্গাপুরের ঢিবের হাট গ্রামে। ১৯২০ সালে বারাণসীতে মামার বাড়িতে জন্ম হেমন্তর। তাঁরা চার ভাই, এক বোন। জন্মের কিছুদিন পর কালীদাস পরিবার নিয়ে চলে আসেন ঢিবের হাট গ্রামে। বহড়ুর এক পাঠশালায় এবং তারপর বহড়ু উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন হেমন্ত। তাঁর এক আত্মীয় বলেন, হেমন্ত সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় গ্রামে কলেরা হয়। তখন সবাইকে নিয়ে তাঁর বাবা চলে যান। বাড়ির কালীমন্দিরে ছোটবেলায় নিয়মিত পুজো করতেন হেমন্ত। এখন সেটির চারপাশ আগাছায় ভরা। বাড়িতে আসার রাস্তা ইটের। শিল্পীর ছোটবেলার ভিটে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় রয়েছে। কেউ মনে রাখেনি বরেণ্য এই সঙ্গীতশিল্পীকে। গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, এই এলাকার নামকরণ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের নামে হোক। একই সঙ্গে স্মৃতি ধরে রাখতে সংগ্রহশালা তৈরির দাবিও প্রশাসনের কাছে করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তবে ২০২১ সালে শিল্পীর জন্মশতবর্ষ পূর্তিতে হেরিটেজ কমিটি ফর গ্রেটার জয়নগর ও বহড়ু দক্ষিণ পাড়া শ্রীদুর্গা ক্লাবের উদ্যোগে ওই এলাকায় শিল্পীর ন’ফুট উচ্চতার মূর্তি করা হয়েছিল। রবিবার জন্মদিনে শিল্পীর মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান হেরিটেজ কমিটি ফর গ্রেটার জয়নগরের সম্পাদক অধ্যাপক ডঃ তরুণকান্তি নস্কর। তিনি বলেন, বাসিন্দারা সবাই চান একটি সংগ্রহশালা হোক। জয়নগর এক নম্বর ব্লক প্রশাসন এই কাজে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। আমাদের দাবি, কুলপি রোডের একটি অংশের নামকরণ ও বহড়ু স্টেশনের নাম শিল্পীর নামে হোক।