হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
আকাশ পাটুলি থানা এলাকার বৈষ্ণবঘাটার বাসিন্দা। বাবা বাবলু মাকাল পেশায় একজন গাড়িচালক। দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আকাশ। তাঁর এক বিবাহিত দিদি রয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, এদিন ভোরে কালিকাপুরের দিক থেকে বাড়ির পথে ফিরছিলেন তিনি। যে স্পোর্টস বাইকটি চালাচ্ছিলেন, তার সর্বোচ্চ গতি প্রায় ১৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। এরকম ‘হাইএন্ড’ বাইকে হেলমেট পরার প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি।
দুর্ঘটনাস্থল পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডের আওতাভুক্ত এলাকা। ট্রাফিক পুলিসের একটি সূত্রের দাবি, রাত্রিবেলায় ওই জায়গায় গাড়ি ও বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্রিস-ক্রস করে বসানো হয় গার্ডরেল। রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সেভাবেই থাকে। সেখানেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিসের অনুমান, ঘণ্টায় কমপক্ষে ১০০ কিমি গতিতে ছুটছিল বাইকটি। তাই সামনে গার্ডরেল থাকা সত্ত্বেও গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি চালক। বাইকের সঙ্গে জোরালো সংঘর্ষ হয় গার্ডরেলের। ভেঙে বেরিয়ে যায় বাইকের সামনের অংশ। লোহার পোক্ত গার্ডরেল মাঝখান থেকে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গার্ডরেলটি প্রায় ১৫ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে। বাইকচালক তরুণ ছিটকে গিয়ে পড়েন রাস্তার এক প্রান্তে। মাথায় গুরুতর চোট লাগে তাঁর। পাশ দিয়ে যাওয়া একটি গাড়ির চালক এই ঘটনা দেখে পুলিসে খবর দেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক গার্ড ও সার্ভে পার্ক থানার পুলিস। জখম যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
পুলিসই আকাশের বাড়িতে খবর দেয়। কান্নার রোল ওঠে সেখানে। মৃতের জামাইবাবু বলেন, ‘আকাশ এদিন ভোররাতের দিকে বাড়িতে কাউকে কিছু না বলেই বেরিয়ে যায়। ও কোথায় গিয়েছিল, আমরা কেউ জানি না। সকালে পুলিস এসে খবরটা দিয়ে গেল।’ লালবাজার সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইকটি জনৈক সৌভিক বিশ্বাসের নামে নথিভুক্ত রয়েছে। তাহলে কি আকাশ তাঁর থেকে বাইকটি কিনেছিলেন? সেক্ষেত্রে নথিতে নাম পরিবর্তন করা হল না কেন? এরকম বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর পেতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস।