মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে, রেমালের দাপটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন বেলাইন হতে পারে। অথবা গড়িয়ে গিয়ে তা অন্য ট্রেনে ধাক্কাও দিতে পারে। তাই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিল দক্ষিণ পূর্ব রেল। রবিবার শালিমার রেল ইয়ার্ডে ট্রেনের চাকায় বাঁধা হল চেন। একইসঙ্গে রেকগুলির ট্র্যাকে দেওয়া হয়েছে স্টপার। যাতে দুর্ঘটনা আটকানো যায়। এছাড়াও আরও একগুচ্ছ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব রেলের তরফে। বাতিলও হয়েছে প্রচুর ট্রেন।
নদী তীরবর্তী ব্লকগুলিতে ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা জেলা প্রশাসনের। উলুবেড়িয়া মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার বিকেল পর্যন্ত শ্যামপুর-১ ব্লকে ৪টি ও উলুবেড়িয়া-১ ব্লকে ২টি, বাগনান-১ ব্লকে ২টি, বাগনান ২ নং ব্লকে ২টি ত্রাণ শিবিরে দু’হাজার জনকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উলুবেড়িয়া-১, শ্যামপুর ১ ও ২ এবং বাগনান-১ ও ২ নং ব্লকের উপর বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় দমকা হাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সর্তকতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবে বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি ঘাটগুলি। গড়চুমুক মিনি জুয়ের পশুপাখিদের নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শ্যামপুরে ইট ভাটাগুলিতে ব্যাপক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই মতো সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। ইট ভাটা মালিকদের মতে, তিনবছর আগের ঘূর্ণিঝড়ের কথা আমর কেউ ভুলতে পারিনি। আবারও যাতে সেই ঘটনার সম্মুখীন না হতে হয় সেই লক্ষ্যে ভাটার চারপাশে মজবুত করে বাধ দেওয়া, কাঁচা ইট রক্ষা করার পাশাপাশি যেসব ইট শুকিয়ে গিয়েছে সেগুলি যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জগদীশপুরে নদী ভাঙনের জায়গায় ত্রিপল ও বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক মানসকুমার মণ্ডল জানান, ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খুলে নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে লোকজনদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।