মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
বারাসত থেকে টানা তিনবার সংসদে গিয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এবার জিতলে তিনি চতুর্থবারের জন্য নির্বাচিত হবেন। তাই দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে আদাজল খেয়ে প্রচারে নেমেছেন দলের সব স্তরের নেতারা। সেক্ষেত্রে তাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছেন গত বিধানসভা ভোটের ফলাফলকে। সেই ফল ধরে রাখতে পারলেই বাজিমাত। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি’র দাপাদাপি সত্ত্বেও রাজারহাট-নিউটাউনে ৫৬ হাজার, মধ্যমগ্রামে ৪৬ হাজার, দেগঙ্গায় ৬২ হাজার, হাবড়ায় ৪ হাজার, বিধাননগরে ৮ হাজার, বারাসতে ২৪ হাজার ও অশোকনগরে ২৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। সামান্য হলেও এবার প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার কারণে কিছু ভোট কমতে পারে তৃণমূলের। তবে বিজেপি’র পালে গতবারের মতো হাওয়া নেই। পাশাপাশি মহিলা ভোট বড়সড় ফ্যাক্টর। এই মহিলা ভোটের বড় অংশই ঘাসফুলের বাক্সে পড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বারাসতে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি, তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ৪৭ শতাংশ ভোট। সেবার দেগঙ্গা থেকে বিপুল লিড পেয়েছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাই এই বিধানসভা কেন্দ্রকে এবার বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, দেগঙ্গা বিধানসভায় এবার হঠাৎ করে আইএসএফ মাথাচাড়া দিয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও আইএসএফ চাপ তৈরি করেছিল তৃণমূলের উপর। ফলে ভোট কাটাকাটির সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। তাই দেগঙ্গায় যাতে ‘অঘটন’ না ঘটে, তারজন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে শাসকদল। এ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, আমাদের দলীয় প্রার্থীর জয় একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু লিড বাড়ানোর কথা ভাবছি। কাকলি ঘোষ দস্তিদার বারাসতের তিনবারের সাংসদ। তাই কাজের নিরিখে ভোট হবে। অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, কয়েকদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশোকনগরে সভা করেছেন। সেদিন মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে দিয়েছে, তৃণমূলের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। আমরা লিড বাড়ানো নিয়ে লড়ছি। কাকলিদেবী ফের দিল্লি যাচ্ছেন, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কারণ, এবারের ভোট দেশ বাঁচানোর লড়াই।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তাপস মিত্র বলেন, তৃণমূল লাফালাফি করলেও কাজ হবে না। সাংসদ গত ১৫ বছরে বারাসত শহরের বাইরে গ্রামীণ এলাকায় কী করেছেন, তা তিনি বলতে পারবেন না। মানুষ বিজেপি’র উপরই ভরসা রাখছেন।