মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
বিএসএফ জানিয়েছে, আর এক দফার নির্বাচন বাকি। তার আগে সীমান্তে এখন কড়া নজরদারি চলছে। শনিবার গুনারমাঠ সীমান্ত চৌকিতে খবর এসেছিল, সীমান্ত সংলগ্ন গ্রাম হালদারপাড়ার একটি বাড়িতে প্রচুর সোনা মজুত করা হয়েছে। জওয়ানরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনক বাড়িটিকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন। স্থানীয়দের উপস্থিতিতে বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। ওই বাড়ি থেকে একটি কাপড়ের বেল্ট পাওয়া যায়। সেই বেল্ট খুলে দেখা যায়, ভিতরে রয়েছে ৮৯টি সোনার বিস্কুট। সব মিলিয়ে ওজন ১৬ কেজি।
ধৃত ব্যক্তি বিএসএফকে জেরায় জানিয়েছে, গত মার্চ মাসের শেষে বাংলাদেশের এক সোনা কারবারির সঙ্গে তার আলাপ হয়েছিল। তখনই ওই কারবারি তার বাড়িতে সোনা লুকিয়ে রাখার প্রস্তাব দেয়। একদিন বাড়িতে সোনা রাখার জন্য ৪০০ টাকা দেবে বলেছিল। সে এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। এরপর শনিবার রাতে একজন অপরিচিত পাচারকারী তার বাড়িতে ওই সোনা রেখে যায়। অন্য একজন এসে তার বাড়ি থেকে ওই সোনা নিয়ে যাবে বলে কথা ছিল। তবে রাতেই বিএসএফ হানা দিয়ে সব পরিকল্পনা বরবাদ করে দেয়। বিএসএফ জানিয়েছে, যে বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অতীতে তার সোনা পাচারের রেকর্ড আছে। এমনকী, এই অভিযোগে সে এর আগেও জেল খেটেছে। ওই মামলা এখনও বনগাঁ মহকুমা আদালতে বিচারাধীন।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক তথা ডিআইজি এ কে আর্য বলেন, ‘এই চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে বসবাসকারীদের কাছে তাঁর আবেদন, সোনা পাচারের খবর থাকলে বিএসএফ-কে দিন। সঠিক খবর দিলে পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।