মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সামসেরনগরের বাসিন্দা কণিকা মণ্ডল বলেন, আইলা ও উম-পুন ঝড়ে কৃষিজমি ও মাছ সব নোনা জলে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন এলাকায় নোনা জল জমে থাকায় বাড়িতে ঢুকতেও পারিনি। ফ্লাড সেন্টারে থাকতে হতো। এই ঝড়ে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হবে আমাদের জানি না। বাড়ির দুই ছেলে তামিলনাড়ুতে কাজ করে। কিছুটা আর্থিকভাবে গুছিয়ে উঠেছিলাম। আবারও এই ঝড়ে সব লণ্ডভণ্ড করে দেবে। আর্থিকভাবে ভেঙে পড়বে গোটা পরিবার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত পাঁচটি ব্লকে রেমালের প্রভাব ব্যাপক হতে পারে। বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি ১ ও ২, হাসনাবাদ, মিনাখাঁ ও হিঙ্গলগঞ্জের তাই বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই ২টি এনডিআরএফ ও ২টি এসডিআরএফ টিম রয়েছে। জেলায় ১২৯টি ত্রাণ শিবির করা হয়েছে। যেখানে মোট ৫০ হাজার মানুষকে রাখা যাবে। বিদুতের জোগানের জন্য ৩০০টি জেনারেটর রাখা হচ্ছে। ৩২টি সিভিক ভলান্টিয়ারের টিম তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই, বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে, অনেকে বাড়ি ছেড়ে আসতে চাইছেন না। বিভিন্ন শিবির ঘুরে দেখেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
এ বিষয়ে জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী বলেন, আমর সবদিক থেকেই প্রস্তুত ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায়। প্রতিটি ব্লকে তৈরি করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ত্রাণশিবিরে মানুষকে নিয়ে আসা হচ্ছে। থাকছে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার, পানীয় জল, ত্রিপল ও ওষুধ। আমি নিজে রয়েছি বসিরহাটে। এছাড়া বারাকপুরের দিকেও ফেরি সার্ভিসে লাগাম টানা হয়েছে। আর মৎস্যজীবীদের জলে নামা পুরোপুরি নিষেধ করা হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তরের অধীনে রয়েছে সাতটি ডিভিশন। কাস্টমার কেয়ার রয়েছে ৫৭টি। বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে সাগর লাগোয়া বসিরহাট ডিভিশনকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলার প্রতিটি ডিভিশনে রিমেল মোকাবিলায় সতর্ক রয়েছেন কর্মী সহ আধিকারিকরা। সতর্কবার্তা পাওয়ার পরেই শহর ও গ্রামীণ এলাকাগুলিতে বিদ্যুতের তারে লেগে থাকা গাছের ডাল কেটে ফেলা হয়েছে।