মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
ভোটে দেশজুড়ে নানা নিয়ন্ত্রণ ও বিধিনিষেধ জারি থাকে। অশান্তি বা গোলমাল এড়াতে অনেকে বাড়ির বাইরে পা বাড়াতেই চান না এই সময়। কিন্তু লোকসভা ভোট এবার পর্যটনে তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি বলেই দাবি করেছেন কুণ্ডু স্পেশালের কর্ণধার সৌমিত্র কুণ্ডু। তিনি বলেন, ‘যাঁরা বেড়াতে যাওয়ার কথা আমাদের আগে থেকে জানালেও ভোটের ডিউটির কারণে পিছিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের জায়গায় অন্য কেউ বুকিং করেছেন। তাই আমাদের প্যাকেজ ট্যুরগুলি সবক’টিই ভর্তি ছিল বা আছে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের। প্যাকেজ ঘোষণার পরপরই সব আসন বুক হয়ে গিয়েছে। লে-লাদাখে যাওয়ার সেরা সময় জুন থেকে সেপ্টেম্বর। কিন্তু পর্যটকদের চাপে আমরা মে মাসেও সেখানে যাচ্ছি।’ এরপরই চাহিদার তালিকায় রয়েছে নৈনিতাল, কিন্নর, কল্পা, সাংলা, জানিয়েছেন সৌমিত্রবাবু। পর্যটন শিল্প সংগঠন ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের অন্যতম সদস্য এবং ‘সীমানা ছাড়িয়ে ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস’-এর কর্ণধার শঙ্কর বসু বলেন, ‘কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়ার যা চাহিদা, তাতে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত কোনও হোটেলের ঘর খালি নেই। এমনকী গেস্ট হাউসগুলিও দৈনিক তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া চাইছে। আমরা যেটুকু দেখতে পাচ্ছি, তাতে কাশ্মীরের পরই পর্যটকদের ঢল নেমেছে উত্তরাখণ্ডে।’
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর সার্ভিস প্রোভাইডার্স অব বেঙ্গলের অন্যতম কর্তা সমর ঘোষ বলেন, ‘ভোটপর্ব মিটলেই যেমন বহু মানুষ বেড়াতে যাবেন, তেমনই পুজোর ছুটিতে বেড়ানোর জন্য ইতিমধ্যেই খোঁজখবর শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা আগামী ১৬ জুন থেকে চার দিনের জন্য ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে বেঙ্গল ট্যুরিজম ফেস্ট বা বিটিএফের আয়োজন করেছি। এই পর্যটন মেলায় বিগত বছরগুলিতে একযোগে হাজির হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, গুজরাত, ঝাড়খন্ডের মতো বহু রাজ্য। এবারও আমরা আশা করছি, প্রায় সব রাজ্যকেই হাজির করতে পারব। কারণ, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির পর্যটন দপ্তরের কর্তারা ইতিমধ্যে এ রাজ্যের পর্যটকদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন। আশা করছি, পুজো বুকিংয়ের একটা বড় অংশই আসবে এখান থেকে।’