সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
চুঁচুড়া পুরসভার ৬৭টি মজদুর ও ৯টি পিওন পদে স্থায়ী নিয়োগের জন্য ২০১৯ সালে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়। তখনই অনিয়ম নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। কিন্তু সেসব পাশ কাটিয়ে ২০২০ সালের ৪ মার্চের বদলে ১২ মার্চ থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। প্রায় ৪৫০ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্যে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচিতদের তালিকা প্রায় তিনবার বদল করা হয় বলে অভিযোগ। নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে দেখা যায়, একাধিক নেতানেত্রী ও কাউন্সিলার ঘনিষ্ঠরা চাকরি পেয়েছেন। অভিযোগ, পুরসভার কাউন্সিলারদের একাংশকে নিয়োগের কোটা বরাদ্দ করা হয়েছিল। একজন কাউন্সিলার নিজেই চাকরিপ্রাপকের চূড়ান্ত তালিকায় ছিলেন।
ওই নিয়োগেও যুক্ত ছিল এজেন্সি। বর্তমানে এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে চুঁচুড়ার অয়ন শীল, বলাগড়ের শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়দের নাম সামনে আসছে। সেদিন যে এজেন্সিকে নিয়োগ করা হয়েছিল, সেটিও ছিল ভুঁইফোড় একটি সংস্থা। এজেন্সি নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। পুরসভার অন্দরের খবর, বোর্ড অব কাউন্সিলারসে(বিওসি) এনিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কোনও টেন্ডার না ডেকে রাতারাতি নৈহাটির একটি এজেন্সিকে কাজ দেওয়া হয়েছিল। নতুন করে এজেন্সি বিতর্ক সামনে আসায় আচমকা বিষয়টি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। অয়ন শীলরাই কোনও ভুয়ো এজেন্সি বা নিজেদের কোনও সাব এজেন্সি চালু করেছিল কি না, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অভিযোগ, এজেন্সি সেই সময় পরীক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে ‘ডিল’ করেছিল। প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর থেকে নেওয়া টাকার ৩০ শতাংশ এজেন্সির ভাগে ছিল বলে অভিযোগ। বাকি টাকা কার কাছে গিয়েছে, তার উত্তর আজও অজানা। কারণ, তদন্তই হয়নি।