ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
আজ বিশ্বকর্মা পুজো। আকাশে ঘুড়ির মেলা থাকবে। যা আনন্দের... আশঙ্কারও। এই উদ্যোগের অন্যতম হোতা সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, আদালতের নির্দেশে চীনা মাঞ্জা নিষিদ্ধ। তাই সেটা কঠোরভাবে মেনে চলা উচিত। তাহলেই অনেক পাখি প্রাণে বাঁচবে। প্রসঙ্গত, এই দলের তরফে কলকাতা পুলিসের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল, ট্যাবলো মিছিল করে যাতে চীনা মাঞ্জার বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর অনুমতি মেলে। তবে এক শীর্ষ আধিকারিক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সেই বিষয়টি ঝুলে যায়। তবে এই দলের সঙ্গে পুলিসকর্মী এবং আধিকারিকরা প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করছেন। কলকাতা পুলিসের এক সার্জেন্টের উদ্যোগেই প্রাণে বাঁচানো যায় পার্ক স্ট্রিট থেকে উদ্ধার হওয়া একটি চিলকে। নিষিদ্ধ মাঞ্জায় ব্যাপক জখম হয়েছিল সেটির ডানা। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, বসন্তবৌরি, ঘুঘু, চড়াই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত যেমন, ভবানীপুর, গিরিশ পার্ক, বরানগর প্রভৃতি এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে এই দল। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী সৌম্যদীপবাবু জানান, এই দলে সরকারি কর্মী, ব্যাঙ্ক আধিকারিক, এমনকী বহু অ্যাপ ক্যাব চালকও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রয়েছেন। অন্তত ২০ জন পশুচিকিৎসক এবং ক্লিনিকের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাঁদের। আহত পাখিগুলিকে তাদের কাছে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। শহরের বাইরে এরকম ঘটনায় ভিডিও কলের সাহায্যে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। জখম পাখির খবর দেওয়ার জন্য হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। রাজ্যজুড়়ে অন্তত দেড়শো স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। বনদপ্তরের প্রত্যক্ষ সাহায্যও পাচ্ছেন এই দলের সদস্যরা। যেমন পেঁচাটি প্রাথমিক শুশ্রূষার পর বনদপ্তরের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছিল। তারপর সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চেষ্টায় সুস্থ হয়ে উড়ে গিয়েছে সেটি। ডেপুটি কনজারভেটর অব ফরেস্ট (ওয়াইল্ড লাইফ) ওম প্রকাশ বলেন, আহত পাখিদের উদ্ধার আমাদের কাজের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু এত মানুষ এগিয়ে আসায় আমাদের সেই কাজ সহজ হয়েছে। উদ্ধারকাজ গতিও পেয়েছে। চলছে জখম পেঁচার পরিচর্যা। -নিজস্ব চিত্র