বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
বিভিন্ন মেলা এবং আন্তর্জাতিক স্তরের শিল্প ও বাণিজ্য সম্মেলনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি নানা সামগ্রীর সঙ্গে পরিচয় বাড়ছে বিদেশি অতিথিদের। তাঁরা কিছু কিনে নিয়ে গেলে সেই সূত্রে বিদেশেও পণ্যগুলির পরিচিতি তৈরি হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে সেসব দেশের ব্যবসায়ী, পর্যটকরা ভারতে বা বাংলায় এলে সেসব সামগ্রীর খোঁজ করছেন। যেমন, কালীপুজোর সময় স্পেনের এক সাহিত্যিক কলকাতায় বেড়াতে এসেছিলেন। ঢাকুরিয়ার সৃষ্টিশ্রী মলে এসে হস্তশিল্পের বাহার দেখে তিনি রীতিমতো বিস্মিত হন। হ্যান্ড প্রিন্টেড টি-শার্ট, মাফলার ইত্যাদি তাঁর পছন্দ হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকা সামগ্রী কিনে ফেলেন তিনি। কিছু সামগ্রীর অনলাইন অর্ডারও দিয়ে গিয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া জি-২০ সামিটেও দেশ-বিদেশের মহিলা অতিথিরা অনেকে বীরভূমের কাঁথাস্টিচের স্টোল কিনে নিয়ে গিয়েছেন। এভাবে ঢাকুরিয়ার ‘সৃষ্টিশ্রী’ মলে বিদেশি ক্রেতাদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। মলের এগজিকিউটিভ ম্যানেজার পিয়ালি গুহ বলেন, ‘বিদেশি ক্রেতাদের এখন ভালো ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পোশাক, ঘর সাজানোর সামগ্রী ইত্যাদির দিকেই বেশি ঝোঁক তাঁদের।’
পঞ্চায়েত দপ্তরের আনন্দধারা প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের এই কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। অনলাইন কেনাকাটার মাধ্যমে এসব সামগ্রী যাতে বিদেশের বাজারেও সহজলভ্য হয়, তার জন্য নয়া পোর্টালও চালু করেছে দপ্তর। ফলে আগামী দিনে জেলায় জেলায় হাতে তৈরি জিনিসপত্র আরও ভালো দাম এবং বাজার পাবে বলে আশা করছেন সরকারি কর্তারা। -নিজস্ব চিত্র