নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের জট কাটাতে রাজ্যে তৈরি হয়েছে ফেসিলিটেশন কাউন্সিল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যেসব ছোট সংস্থা ঋণগ্রহীতাদের থেকে টাকা আদায় করতে সমস্যায় পড়ে, মূলত তাদের সুরাহার জন্যই গড়া হয়েছে এই কাউন্সিল। বণিকসভা অ্যাসোচেম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের জয়েন্ট ডিরেক্টর রাজকুমার মিদ্দা। তিনি বলেন, কোনও সংস্থা পণ্য সরবরাহের পর যদি ৪৫ দিনের মধ্যে পেমেন্ট না পায়, তাহলে তারা এই কাউন্সিলে আবেদন করতে পারে। তারা সমাধান পোর্টালের মাধ্যমে যেমন আবেদন করতে পারবে, তেমনই কাউন্সিলে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে। দপ্তরের ডিরেক্টর এই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত। পেমেন্ট পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সব রকমের সাহায্য করবে কাউন্সিল, দাবি করেছেন মিদ্দা। পাশাপাশি শিল্প সংস্থাগুলির কাছে তাঁর আর্জি, ছোট শিল্পগুলিকে সময় মতো বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিন, যাতে তারা সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারে ও টিকে থাকতে পারে। প্রসঙ্গত, কলকাতার কাউন্সিলে কেস বা আবেদনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আরও দু’টি কাউন্সিল তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। দুর্গাপুর এবং শিলিগুড়িতে ওই কাউন্সিল চালু হয়েছে। উত্তরবঙ্গের আটটি জেলার ছোট শিল্প সংস্থা যদি টাকা আদায়ের ব্যাপারে সমস্যায় পড়ে, তাহলে তারা শিলিগুড়ির কাউন্সিলে আবেদন করতে পারবে। অন্যদিকে দুর্গাপুর থেকে দক্ষিণবঙ্গের আটটি জেলার ছোট শিল্পের সমস্যার সমাধান করা হবে। বাদবাকি জেলার দায়িত্ব থাকবে কলকাতার কাউন্সিলের উপর। ২০০৬ সালের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প আইনের উপর ভিত্তি করেই এই ফেসিলিটেশন কাউন্সিল গঠিত হয়েছে। শিল্পদপ্তর সূত্রে খবর, সরকারি আধিকারিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন বণিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও থাকছেন সেখানে। শিল্প সংস্থাগুলির টাকাপয়সা সংক্রান্ত অভিযোগ থাকলে পারস্পরিক মধ্যস্থতায় তা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে এই কাউন্সিল। কিন্তু এখানে ন্যাশনাল কোম্পানি ট্রাইব্যুনালের আওতায় থাকা মামলা গৃহীত হয় না। পাশাপাশি ট্রেডাররাও এখানে সুরাহা চাইতে পারেন না।