Bartaman Patrika
সুখী গৃহকোণ
 

ছুটির সফরে ছুট

ভ্রমণের নেশা তাঁর বহুদিনের। শ্যুটিংয়ের ব্যস্ততা সত্ত্বেও ঠিক সময় বের করে নেন। বেড়ানোর সাত-সতেরো নিয়ে অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন-এর সঙ্গে কথায় অন্বেষা দত্ত।

আপনার পায়ের তলায় সর্ষে তো অনেকদিনই। কিন্তু এটা যে অন্যতম প্যাশন, কবে বুঝলেন?
ছোটবেলায় সবাই যেমন বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুরতে যায়, সেরকম আমিও যেতাম। তখন বেড়াতে বেড়াতেই একটা কথা মনে হতো, যে আর একটু এক্সপ্লোর করলে কেমন হয়? একটু বড় হয়ে মানে ক্লাস ইলেভেন-টুয়েলভে মা বাবা আর তাঁদের বন্ধুবান্ধব মিলে বড় গ্রুপে ঘুরতে গিয়েছি একবার। তখন উত্তরবঙ্গের একটা জায়গায় গিয়ে মনে হল একটু ট্রেক করা যাক। একটু উপরে ওঠা, বা নীচে কতটা যাওয়া যায় দেখি— এগুলোQW++ করতে করতে মনে হয়েছিল আমি এই ‘অভিযান’ বা কোনও জায়গা খুঁজে বের করার বিষয়টা ভালোবাসতে শুরু করেছি। এভাবেই একদিন মেঘ ছুঁয়ে ফেলা পাহাড়ে উঠে। মেঘে ঢাকা পড়ে গিয়েছে আমার পাশের জন, এই অদ্ভুত উপলব্ধি হওয়া। এর সঙ্গেই ধীরে ধীরে মনে হতে শুরু করল আমি প্রকৃতির সঙ্গে খুব ভালো থাকি। প্রকৃতিকে ভালোবাসি। যত বড় হলাম, তত এই খুঁজে দেখার নেশাটা চেপে বসল। 

সোলো ট্রিপ কি এভাবেই শুরু?
‘তুমি আসবে বলে’ এবং ‘প্রতিদান’ সিরিয়ালে কাজের মাঝখানে একটা লম্বা বিরতি পেয়েছিলাম। প্রায় এক বছর। কারণ চুক্তির জন্য তখন অন্য কাজ নিতেও পারতাম না। তা সে বছরে আমি মোট ১১টা ট্রিপ করি! সকলের সঙ্গে নানারকম কম্বিনেশনে। মানে মা বাবা আমি। ভাইবোনদের সঙ্গে বা বন্ধুদের সঙ্গে। তারপর একদিন দুপুরবেলা বাড়িতে বসে ‘হাইওয়ে’ (আলিয়া ভাট অভিনীত) ছবিটা দেখছিলাম। অপূর্ব সব নিসর্গ দেখে মন ভরে যাচ্ছে। তখন খুঁজতে শুরু করলাম ছবিটার শ্যুট কোথায় হয়েছে। জানতে পারলাম হিমাচলের কাজা আর স্পিতি ভ্যালিতে। তখনই মনে হল জায়গাগুলোতে যেতেই হবে। আরও ভালো করে খোঁজ নিলাম। বুঝলাম যা খারাপ রাস্তা, তাতে বাবা-মায়ের পক্ষে যাওয়া সম্ভব হবে না। বন্ধুদেরও তখন কাউকে ফ্রি পাইনি। কিন্তু আমি ঠিক করে ফেলেছিলাম, জায়গাটায় যেতেই হবে আমাকে। কারণ সময় আর বেশি হাতে নেই। ‘প্রতিদান’-এর কাজ শুরু হয়ে যাবে। তারপর কী করে যাব? কেউ যখন নেই, মনে হল একাই যাব। সেই প্রথম মাথায় এল সোলো ট্রিপ-এর কথা। ভেবেছিলাম শুনেই বাবা-মা খুব রিঅ্যাক্ট করবে। আদতে সেটা হল না। বাবা উল্টে বললেন, তুই যে রকম মেয়ে তাতে আরামসে একা একা ঘুরতে পারবি। আমার তোর উপর ভরসা আছে। এটা শুনে আমিও ভরসা পেলাম। সেটা ২০১৭ সাল। বন্ধুরা যদিও বলল, তুই পারবি কী করে? এত বকবক করিস সারাক্ষণ! একা সম্ভবই না তোর পক্ষে। অনেকে বলেছিল, দু’-তিন দিনে ফিরে আসবি। উত্তর ভারত জায়গাটা মোটেও নিরাপদ নয়। আমি সেসবে কান না দিয়ে ট্রিপটা নিয়ে ভালো করে রিসার্চ শুরু করে দিয়েছিলাম। খুব সাহায্য করেছিল অভিনেত্রী পায়েল দে-র স্বামী দ্বৈপায়ন। ওই অঞ্চলের একজন ভালো ড্রাইভারের কনট্যাক্ট দিয়েছিল। তাঁর সঙ্গে কথা বলে পুরো সফরটা ছকে নেওয়ায় বেশ সুবিধে হয়েছিল। 

একা একা ঘুরছি, তার প্রথম অনুভূতিটা কেমন ছিল?
প্লেনে উঠে বা যাতায়াতের সময় কিছু মনে হয়নি। কারণ ততদিনে নানা ইভেন্টে একা একা যাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সেবার প্লেন থেকে নেমে কুফরির কাছে পৌঁছে খুব খিদে পেল। শিমলাতে নেমে এক জায়গায় খেতে গেলাম। প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে তখন। খেতে বসে আমাকে প্লেট দিলেন ওয়েটার, তার সঙ্গেই আমার উল্টো দিকের চেয়ারের কাছেও। বললাম, আর প্লেট লাগবে না। সে খুব অবাক হল। আমি তাকে হেসে বললাম, ইয়েস, আমার সঙ্গে কেউ নেই। আমি একলাই এসেছি। সেই সময় থেকে বুঝলাম এবার সত্যিই তাহলে একা। সেই সময় এত সোলো ট্রিপের চলও ছিল না। ওখানে আমার ড্রাইভারও তাই খুব অবাক হয়েছিলেন। ভেবেছেন, আমার ব্রেকআপ হয়েছে। মন খারাপ করে চলে এসেছি! ওঁকে আবার বোঝালাম এসব কিছুই নয়। শেষে উনিই আমার বেড়ানোর নানা ছবি তুলে দিতেন। কত সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছে এভাবে। 
     পরে সেসব ছবি পোস্ট করেও কতরকম কথা শুনেছি! একা একা নাকি বেড়াচ্ছে, এদিকে এত ছবি কে তুলে দিচ্ছে! এগুলো নিয়ে ভাবলে এখন হাসি পায়। ভেঙ্কালজি ছিলেন সেই ড্রাইভার, যাঁর সঙ্গে আমার এখনও যোগাযোগ আছে। এখনও ওদিকে বেড়াতে গেলে ওঁরই শরণাপন্ন হই। এর মধ্যে হিমাচলে গিয়ে বরফে আটকে গিয়ে সেই ওঁকেই ফোন করেছিলাম। ওঁর সুবাদে হিমাচলের কত যে ছোট ছোট নাম না জানা পাহাড়ি গ্রামে ঘুরে এসেছি! সেবার গাড়ি ছিল চণ্ডীগড় থেকে টানা। আবার ওখান থেকে চণ্ডীগড়ে ফেরা। এক্ষেত্রে একার সফরে বারবার গাড়ি বদলের ঝুঁকি নিইনি। টানা বারো দিন। ওঁর সাহায্য তো ছিলই। সঙ্গে যেখানে যে হোটেলে ছিলাম তার ফোন নম্বর, যখন সেখানে পৌঁছচ্ছি তার তারিখ-সময় ইত্যাদি সব তথ্য আগে থেকে বাবা-মাকে দিয়ে গিয়েছিলাম। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একা সফরের জন্য। আর একটা জিনিস নিজে রিসার্চ করতে গিয়ে জেনেছিলাম, যে ওই সব অঞ্চলে একটি বিশেষ সংস্থার মোবাইল নেটওয়ার্ক ভালো নয়। তাই সেটার বদলে একটা অন্য সংস্থার সিম নিয়েছিলাম। যাতে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হয়। যে কোনও জায়গায় যাওয়ার আগে তাই রিসার্চটা খুব ভালো করে নেওয়া দরকার। একা যাওয়া মানে নিজের দায়িত্বটাও খুব ভালোভাবে সামলে নেওয়া। আমি সেটা করে গিয়েছিলাম বলেই প্রথম সোলো ট্রিপ হলেও তাতে কোনও অসুবিধে হয়নি। আর এতে আত্মবিশ্বাসও বাড়ে। এখন নির্জন জায়গাতেই যেতে বেশি ভালো লাগে।

এর পরের বেড়ানোর আরও কিছু গল্প শুনতে চাই।
২০১৯-এ গিয়েছিলাম আমেদাবাদ। সেখান থেকে কচ্ছের রান। বড়-ছোট দুটোতেই গিয়েছিলাম। আর সেই বিশেষ সময়টাতেই যাই যখন ওখানে যাওয়া উচিত। এর সঙ্গেই গিয়েছিলাম ধোলাভিরা। কচ্ছ ফেস্টিভ্যাল-এর সময়েই পূর্ণিমা তিথি দেখে গিয়েছিলাম ওখানে। জ্যোৎস্নামাখা আলো সাদা নুন-বালিতে ঠিকরে পড়লে কী যে অসাধারণ লাগে। ওখান থেকে পরে ভুজেও গিয়েছিলাম। ধোলাভিরায় সিন্ধু সভ্যতার প্রাচীন সব নিদর্শন। এই জায়গাটায় পৌঁছলে দেখা যাবে, তার ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও দোকান পর্যন্ত নেই। এই দূরত্বটা একটা বাসে সকালবেলায় যেতে হয়। আবার রাতের বেলায় বাস পাওয়া যায়। সবাই ওখান থেকে কাজ করতে এলে ১০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে আসে, আবার ফিরে যায়। চতুর্দিক ফাঁকা ধু ধু। অদ্ভুত সুন্দর। সবচেয়ে বড় কথা, অত নির্জন ফাঁকা জায়গায় এতটুকু আনসেফ লাগে না। কেউ কোথাও বিশ্রী নজরে দেখছে মনে হয় না। ওখানে যে ড্রাইভারকে পেয়েছিলাম, তার আবার তখন নতুন বিয়ে হয়েছে। সে আমার ছবি তুলে দিয়েই বলত, ওরও ছবি তুলে দিতে হবে। ও নাকি সেগুলো নতুন বউকে পাঠাবে! বেশ মজা লাগত। এই ছোট মুহূর্তগুলো মনে থেকে যায়। ওখানে কচ্ছ ফেস্টিভ্যালে সব ভেজ খাবার। এমনিতে আমি ভেজ ভালোবাসি না। কিন্তু ওখানে হাওয়ার গুণে যেন সবই ভালো লাগত। কী ভালো স্বাদ! সঙ্গে গুজরাতি জিলিপি। আহা! আমি আবার সব জায়গায় গিয়ে ফুচকা চেখে দেখি। কলকাতার পরে একমাত্র রাখা যায় আমেদাবাদের ফুচকাকে। 
   এরকম অনেকই ঘুরেছি। ২০২৩-এর আগস্টে শেষ ঘুরে এলাম ব্যাঙ্ককের ফি ফি আইল্যান্ড। দশ-বারোজন মিলে। তবে প্রকৃতিই আমাকে বেশি টানে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় চুপ করে বসে আমি পাখির আওয়াজ শুনতে পারি। পাতায় হাওয়ার শব্দে কান পেতে থাকতে পারি। এটা আমার কাছে মেডিটেশনের মতো। প্রকৃতি আমায় শান্তি দেয়।  

একা থেকে সদ্য দোকা হয়েছেন। বরের সঙ্গে বেড়াতে কেমন লাগে?     
এখন সৌম্যর (মুখোপাধ্যায়, সন্দীপ্তার স্বামী) সঙ্গেও বেড়ানোর পছন্দগুলো মিলে যায়। মানে ও অনেকটা আমার মতোই ভাবে। ও-ও পাগলের মতো ঘুরতে ভালোবাসে। আমার থেকেও বেশি প্যাশনেট। টানা তিনমাস শহরে কেটে গেলেই ওর হাসফাঁস লাগে। আর কোথাও যাওয়ার আগে ও আমার থেকেও বেশি রিসার্চ করে। 

মধুচন্দ্রিমার কী পরিকল্পনা?
মার্চ মাসের আগে মনে হয় না সময় হবে। ইউরোপ আমাদের দু’জনেরই খুব প্রিয় জায়গা। সম্ভবত ইউরোপেরই কোথাও যাওয়া হবে। 

বিদেশে ঘোরার ক্ষেত্রে কী কী বিষয় পছন্দের?
ইউরোপের সব স্থাপত্যের নকশা দারুণ লাগে। সেগুলোর ইতিহাস আকর্ষণ করে। অস্ট্রিয়া বা সুইৎজারল্যান্ডে ভালো লাগে ঝকঝকে প্রকৃতি। জার্মানিতে মিউনিকের দিকটা গিয়েছি। দিদির বাড়ি অস্ট্রিয়ার লিওপোল্ডস্টাড-এর কাছে। আমরা ওখানকার রাস্তায় হাঁটছি, আর মনে হচ্ছে এসব রাস্তায় হিটলারও একসময় হেঁটে বেড়াতেন। ঘোড়ার গাড়ি চড়ে পুরনো শহর ঘুরেছি। ইতিহাসের গন্ধ যেমন টানে, ইন্সব্রুকের পাহাড়ে চুপচাপ বসে থাকাও ততটা ভালো লাগে।

ঘুরতে গিয়ে এক গন্তব্য থেকে ছুটে আর এক গন্তব্যে পৌঁছনো, নাকি একটা জায়গাকে পুরোপুরি উপভোগ করতে বেশি সময় দেওয়া— কোনটা আপনার বেশি প্রিয়?
আমাদের সফরসূচিটাই সেভাবে ঠিক করি যাতে কখনও ছুটে বেড়াই আর কখনও বিশ্রামই বিশ্রাম। যেমন আমরা যখন ফিলিপিন্স গিয়েছিলাম তখন ঠিক করে নিয়েছিলাম, ঠিক কতদিন ছুটে বেড়াব। এই প্ল্যানেই ছিল শেষ তিন দিন আমরা পুরো ঘুমিয়ে কাটাব। সত্যি সত্যি এরকমও হয়েছে সমুদ্র সৈকতে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি! এত ক্লান্ত ছিলাম। তাই সফরটা সেইভাবেই ভাগ করা থাকে। আবার কোনওবার এমন সফরও থাকে যেখানে শুধু ব্রেক নেওয়া আর আরামে কাটানোটাই প্ল্যানে থাকে।

বেড়ানোর জায়গার তালিকায় এখন কী কী ওপরের দিকে আছে?
নরওয়ে আছে। আমার আর সৌম্যর নর্দার্ন লাইটস দেখার ভীষণই ইচ্ছে। ওটা আগামী দু’তিন বছরের মধ্যে সেরে ফেলার ইচ্ছে আছে। ইউরোপ সবসময় পছন্দ, বললামই আগে। আরও কতবার যে ওখানে যেতে হবে! এছাড়া আছে ফিনল্যান্ড। দেশের মধ্যে কাশ্মীর আর মধ্যপ্রদেশ দু’জনেরই বাকি আছে। 

বেড়ানোর সঙ্গে খাওয়া একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। পেশার কথা মাথায় রেখে কতটা ফুডি আপনি?
আমি ভীষণ ফুডি। আর পেশার জন্য খাব না, এসব আমার মাথাতেই থাকে না। মনে হয় আত্মার শান্তি অনেক বেশি দরকারি! খাওয়াদাওয়ায় সেটা হয় (হাসি)। আমি প্রথম প্রথম যখন সৌম্যর সঙ্গে বেড়াতে শুরু করি তখন ও আমার খাওয়া দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছিল। ও খুব কম খায়। আর আমি বাইরে গেলে ব্রেকফাস্টে এত খাই যে বলার নয়। যারা যারা আমার সঙ্গে এতদিনে ঘুরতে গিয়েছে, তারাও অবাক হয়। বলে তোর খাবারগুলো যায় কোথায়? 
এছাড়া আমি কোথাও গিয়ে স্থানীয় খাবার খেতেও খুব ভালোবাসি। হিমাচলের সোলো ট্রিপে রোজ ডাল মাখানি আর বাটার নান খেতাম। এতটুকু বোর না হয়ে টানা ১২ দিন ওই খেয়ে গিয়েছি। একই উদ্যমে প্রতিদিন। দারুণ লাগত। বড় রিসর্টে যেমন খেয়েছি, মানালির ম্যালের ভিতরে কাঠের ছোট দোকানেও খেয়েছি যেখানে লরি-চালকেরা খেতে আসতেন। বিশ্বাস করুন, ওখানে নান-মাখানির স্বাদটা মনে হয়েছিল সেরা!   

সেলেব হওয়ার ঝক্কি বেড়াতে গিয়ে কতটা পোয়াতে হয়?
রাজ্যের মধ্যে বেশি হয়। কারণ বাংলায় কাজ করি। দেশেও হয়, তবে কেউ ঝামেলায় ফেলেছে এমন নয়। সবাই সেলফি তোলে বা অটোগ্রাফ চায়। সৌম্য বরং বিষয়টার সঙ্গে প্রথমে অভ্যস্ত ছিল না। একবার আমি উত্তরবঙ্গে শ্যুট করছি। ও একদিনের জন্য এল। আমরা দার্জিলিং গেলাম। গ্লেনারিজ-এ বসে আছি। সেটা আমাদের সম্পর্কের গোড়ার দিক। ও আমার জন্য কিছু আনতে কাউন্টারে গিয়েছিল। তার কিছুক্ষণের মধ্যে ওখান থেকে ও দেখতে পায় আমাকে সবাই ঘিরে ধরেছে। প্রচুর ছবি তুলছে। ও অর্ডার ভুলে দৌড়ে চলে এসেছে আমার কাছে। ওর মুখের ভাবটা দেখার মতো ছিল! আমি বুঝিয়েছিলাম যে এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। এখন তাই ওর কাছেও এটা প্রত্যাশিত বিষয়!     
ছবি: সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে

27th  September, 2024
বসন্তের ডাকে জিম করবেটের জঙ্গলে

শীত থেকে গ্রীষ্মের মাঝামাঝি পর্যন্ত খোলা থাকে জঙ্গল। তার মধ্যে বসন্ত বা গ্রীষ্মে বন্য পশু থেকে জঙ্গুলে প্রকৃতি সবই এক ভিন্ন রূপ ধারণ করে। ঘুরে এসে বর্ণনায় কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

27th  September, 2024
আহারে কী তৃপ্তি

তেষ্টা মেটাতে শরবতের জুরি মেলা ভার। ঘরোয়া রেসিপি জানালেন সুমিতা শূর। বিশদ

27th  September, 2024
ভ্রমণপথে নেপালে দেবদেবীর প্রাঙ্গণে

অরণ্য ছুঁয়ে দেবভূমি নেপালে বিভিন্ন মন্দির ঘুরে আসা। পড়শি দেশের তীর্থকাহিনি লিখছেন মালতী ভট্টাচার্য মণ্ডল
বিশদ

27th  September, 2024
‘যা বলতে চাই’

কারও অভিনয়জীবন দীর্ঘ, কারও বা সবে শুরু। কেউ আবার ক্যামেরার পিছনে কাজ করতেই বেশি ভালোবাসেন। ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞতা, ভালোলাগা-মন্দলাগা, চাওয়া-পাওয়া মন খুলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এবার কলম ধরলেন রেশমী সেন।
বিশদ

27th  September, 2024
‘যা বলতে চাই’

কারও অভিনয় জীবন দীর্ঘ, কারও বা সবে শুরু। কেউ আবার ক্যামেরার পিছনে কাজ করতেই বেশি ভালোবাসেন। ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞতা, ভালোলাগা-মন্দলাগা, চাওয়া-পাওয়া মন খুলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এবার কলম ধরলেন সোমা দে।
বিশদ

27th  September, 2024
ফার্স্ট লেডি অব দ্য লেন্স:
হোমাই ভিয়ারাওয়ালা

 

ভারতের প্রথম মহিলা ফটো জার্নালিস্ট-কে নিয়ে লিখেছেন কাকলি পাল বিশ্বাস। বিশদ

27th  September, 2024
টেনশন মেজাজ স্ট্রেস: প্রয়োজনে সাইকিয়াট্রিস্টের সাহায্য নিন

অন্যের তুলনায় কতটা ভালো বা খারাপ আছি, সেভাবে নিজেকে দেখি না, জানালেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদ

27th  September, 2024
টেনশন মেজাজ স্ট্রেস দূর করতে নিজের সঙ্গে সময় কাটান

টেনশনে মিউজিক থেরাপি অনবদ্য, নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ইমন চক্রবর্তী। বিশদ

27th  September, 2024
রাগ কী, তা ভুলে গিয়েছি

মন দিন ধ্যানে। স্ট্রেস, টেনশন, ক্ষোভ সরিয়ে ভালো থাকার পরামর্শে সাহেব চট্টোপাধ্যায়। বিশদ

27th  September, 2024
টেনশন মেজাজ স্ট্রেস: সামলে নিন ঠান্ডা মাথায়

মেজাজ ঠিক রাখার রহস্য কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে শান্ত মেজাজে বিবেচনা করার উপর। পরামর্শ দিলেন তনুশ্রী শংকর।
বিশদ

27th  September, 2024
দেখা সাক্ষাৎ
মৃদুল দাশগুপ্ত

হঠাৎ বাবার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। হুট করে। হঠাৎ করে। আবির্ভূত হওয়া যাকে বলে। মাছ ধরতে এসেছিল বোধ হয়। এখন সন্ধ্যায় ফিরছে। কিন্তু হাতের থলিতে ফোল্ডিং ছিপটি কই? দু’-চারটি চারাপোনা বা একটা এক কিলো এক-দেড়শো কাতলাই বা কোথায়? বিশদ

26th  September, 2024
মোহিনী
কাবেরী রায়চৌধুরী

ওয়েবসাইটে খবর পড়ে নেওয়ার অভ্যাস বেশ কয়েক বছর ঋষির। রাতের খাওয়া শেষে ল্যাপটপ খুলে বসেছে। মোবাইলে অপরিচিত নম্বর ভেসে আসতে ফোন ধরেছে সে। 
হিন্দি-বাংলায় জড়িয়ে অচেনা পুরুষ কণ্ঠস্বর, ‘ভেরি স্যরি টু ডিস্টার্ব ইউ মিস্টার রয়! আমি পুরুষোত্তম বাজাজ আছি। আপনি ঋষি রয়, রাইট?’  বিশদ

26th  September, 2024
মানুষ কাকু, তোমাকে
অভিজিৎ তরফদার

দেখেছ? শুরু করতে না করতেই কেমন হো হো হি হি শুরু হয়ে গেছে! চিরটাকাল আমি এইই দেখে এসেছি। আমার কোনও কথাই যেন সিরিয়াসলি নিতে নেই। আমি যেন দুধ-ভাত! আচ্ছা মানুষ কাকুকে আমি কী বলে ডাকব? ছাগল কাকু? গোরু কাকু? কুকুর কাকু? বিশদ

26th  September, 2024
আলমারি খোলার পর
যশোধরা রায়চৌধুরী

 

শাশুড়ির মৃত্যুর একমাস পর আলমারিটা খুলল অনুরাধা। মেজ জা শ্রাবণী ডালাস ফিরে গিয়েছে তিনদিন আগে, কাজকর্ম চুকিয়ে। বডি ওদের জন্যই রাখা হয়েছিল পিস হাভেনে। ফলত দাহ করতে দু’দিন দেরি। শ্রাদ্ধের পর ওরা আরও ক’দিন ছিল, তবে বর্ধমানে শ্রাবণীর বাপের বাড়িতে।  বিশদ

26th  September, 2024

Pages: 12345

একনজরে
২০১১ সালে শেষবার জনগণনা হয়েছিল ভারতে। ২০২১ সালে জনগণনার কথা থাকলেও তাতে জল ঢেলে দেয় করোনা পরিস্থিতি। তার পরে আরও বছর তিনেক পেরিয়ে গেলেও জনগণনা শুরু করতে কার্যত ব্যর্থ মোদী সরকার। ...

পাটগাছের নির্যাস থেকে পানীয় ও পাটের সুতো থেকে বস্ত্র, ব্যাগ এবং পরিবেশবান্ধব নানা জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হল প্রান্তিক কৃষকদের। ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের অধীন সংস্থা এনআইএনএফইটি’র উদ্যোগে গয়েশপুরের নদীয়া কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে বুধবার পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে প্রশিক্ষণ ও ...

রাজ্য স্কুল জিমন্যাস্টিকের অনূর্ধ্ব ১৪ বালিকা বিভাগে পাঁচটি পদক পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চাকদহের দিয়া হালদার। সল্টলেক সাঁইয়ের মাঠে গত রবিবার শেষ হয়েছে ৬৮তম রাজ্য স্কুল জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতা। সেখানেই দুটি সোনা, দুটি রুপো ও একটি ব্রোঞ্জের পদক পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দিয়া ...

শীতকালে শুকিয়ে গিয়েছে নদী। অজয়, দামোদর নদীজুড়ে শুধুই বালির চড়া। সেই বালি লুট করতে নেমে পড়েছে মাফিয়ারা। নদীগর্ভ থেকে কোনওভাবেই মেশিন দিয়ে বালি তোলা যায় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব টেলিভিশন দিবস
১৬৯৪: ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের জন্ম
১৭৮৩:  মন্টগোলফার ভ্রাতৃদ্বয় প্রথম বেলুনে করে আকাশে ওড়ে
১৮৭৭: ফোনোগ্রাফ আবিষ্কারের কথা জানালেন থমাস এডিসন
১৯০৪:  শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার হরেন ঘটকের জন্ম
১৯০৮: বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে ফাঁসি দেওয়া হয়
১৯২১: বিশিষ্ট বাঙালি মৎসবিজ্ঞানী ড.হীরালাল চৌধুরীর জন্ম
১৯২৬: অভিনেতা প্রেমনাথের জন্ম
১৯৩৪: অভিনেত্রী ও সঙ্গীত শিল্পী রুমা গুহঠাকুরতার জন্ম
১৯৩৮: বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হেলেনের জন্ম
১৯৪৭ স্বাধীন ভারতে আজকের দিনে জাতীয় পতাকা সম্বলিত ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়
১৯৭০: নোবেলজয়ী পদার্থবিদ চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরামনের মৃত্যু
১৯৭৪: শিশু সাহিত্যিক পুণ্যলতা চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৯৫: সঙ্গীতশিল্পী সবিতাব্রত দত্তর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৮ টাকা ৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.২৭ টাকা ১০৯.০০ টাকা
ইউরো ৮৭.৮২ টাকা ৯১.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
20th  November, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ৪৭/৪৮, সন্ধ্যা ৫/৪। পুষ্যা নক্ষত্র ২৪/৮ দিবা ৩/৩৬। সূর্যোদয় ৫/৫৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ৩/২০ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১/০ মধ্যে।
৫ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৪৫। পুষ্যা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৫৪। সূর্যোদয় ৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৫ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ৩/৩৩ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/০ মধ্যে। কালবেলা ২/৬ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২৩ গতে ১/২ মধ্যে।  
১৮ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লক্ষ্মীবারেও লাল জোনে বন্ধ হল বাজার, ১৬৮ পয়েন্ট পড়ল নিফটি ৫০

03:49:00 PM

ঝাড়খণ্ডের মাইথন জলাধারে তিন পড়ুয়ার ডুবে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য, উদ্ধার ২টি মৃতদেহ

03:46:22 PM

ফের ময়নাগুড়িতে অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে ছুটছে টোটো, আটক করল ট্রাফিক বিভাগ

03:30:00 PM

নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রী জুডিথ কলিন্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

03:23:00 PM

কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়িতে দাপিয়ে বেড়াল তিন বাইসন
কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়িতে বাইসন ঘিরে আতঙ্ক। কার্যত তিনটি বাইসন এলাকা দাপিয়ে ...বিশদ

03:19:00 PM

আসানসোলে নাবালিকাকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত চিকিৎসক
আসানসোলের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্ত চিকিৎসক রমণ রাজের ...বিশদ

03:09:00 PM